Historical Story

ভালবাসা দিবসের সূচনা! The History Behind Valentine Day’s

ভালবাসা দিবসের সূচনা 

ভ্যালেন্টাইন ডে এই দিনটির নাম জানা নেই ছোট থেকে বড় এমন কেউ নেই।
আজকের জেনারেশন এর কাছে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবস হিসাবে যে দিনটি পরিচিত।
কিন্তু অনেকে জানিনা,কি লুকিয়ে আছে এই দিনটিকে গিরে, কেনই বা এর নাম ভ্যালেন্টাইন ডে নামে পরিচিত।

আসুন জেনে নেই এই দিনটির ইতিহাস সম্পর্কে।

ঘটনাটি ঘটে ছিল ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দের একেবারে শেষের দিকে।এই সময় ইউরোপের রোম পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্য  হিসাবে আত্নপ্রকাশ করে।
সেই সময় রোমের রাজা ছিলেন দ্বিতীয় ক্লোরিয়াস,
যিনি একজন নির্দয় ও অত্যাচারী রাজা ছিলেন।
তিনি নিষ্টুর ভাবে দ্রুত গতিতে তার সাম্রাজ্য সারা দেশে বিস্তার করেছিলেন।
একবার ক্লোরিয়াস তার সাম্রাজ্যে একটি সমিক্ষা চালান।
এবং সমিক্ষার ফল হিসাবে তিনি জানতে পারেন।
অবিবাহিত পুরুষরা বিবাহিত পুরুষদের থেকে অধিক শক্তিশালী।
এর পর রাজা ক্লোরিয়াস নির্দেশ দেন যে তার সাম্রাজ্যে কোন যুবক আর কোন দিন বিবাহ করতে পারবে না।
এই নিষ্টুর ঘোষনায় রাজ্যের সবাই নিরাশ হয়ে পরে।
সেই সময় রোমে একজন খ্রিষ্টান পাদ্রী বসবাস করতেন।
যার নাম ছিল সেন্ট ভ্যালেন্টাইন।
রাজা ক্লোরিয়াস এর ঘোষনা তিনির প্রচন্দ হয় নি।
তিনি রাজার এই আদেশের বিরোদিতা করেন।
এবং যুবকদের বিবাহ করার জন্য উৎসাহিত করেন।
তার এই বিরোদিতার কথা রাজা ক্লোরিয়াস এর কানে পৌছানো মাত্রই তিনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে কারাগারে বন্ধি করা আদেশ দেন।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন যে জেলে বন্দি ছিলেন।
সেই জেলের জেলারের একটি অন্ধ মেয়ে ছিলো।
জেলার তার অন্ধ মেয়ের ব্যাপারে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে সব কিছু বলেন।আর তার মেয়েদের দৃষ্টি ভালো হবার জন্য প্রার্থনা করতে বলেন। জেলারের কথা অনুযায়ী সেন্ট ভ্যালেন্টাইন প্রার্থনা করতে থাকেন আর তার প্রার্থনায় জেলারের অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে পায়। দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে পাওয়ার পর জেলারের মেয়েটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর সাথে কারাগারে দেখা করতে আসে।
আর প্রথম দেখায় তাদের একে অপরকে ভালো লেগে যায়।পরবর্তিকালে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন থাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন।আর এই কথা রাজা ক্লোরিয়াস এর কানে পৌছানো মাত্রই তিনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে বিবাহের বিরোধিতা করতে বলেন।কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন রাজার এই কথা অমান্য করেন।
যার ফলে রাজা ক্লোরিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাসির আদেশ দেন।
ফাসির আদেশ শুনা মাত্রই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমিকাকে একটি পত্র লিখেন।
যার উপরে লেখেন।

From Year Valentine

রাজা ক্লোরিয়াস ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাসি দেন।
এর পর থেকে ১৪ই ফেব্রুয়ারির দিনটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর স্বরণে ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিন হিসাবে পালন করা হয়।
যাই হোক প্রচলিত এইঈ কাহিনী কতটুকু সঠিক তা আমরা জানি না কিন্তু এটুকু জানি ভালবাসা প্রকাশের জন্য কোন দিনের প্রয়োজন হয় না।
প্রতিটি দিনই ভালবাসার দিন,ভালবাসা প্রকাশের দিন।
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button