Health Tips

মোটা হওয়ার সহজ উপায়

মোটা হওয়ার সহজ উপায় 

পৃথিবী জুড়ে যেখানে রোগা হওয়ার ধুম, সেখানে মোটা হওয়ার টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্তু হবেন না। বরং এই ওজন বাড়াবার টিপস গুলো তাঁর জন্য এক রকম স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনবে৷
শারীরিকভাবে ক্ষীণকায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই শোনা যায় কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এত খাই কিন্তু মোটা হতে পারি না।স্বাস্থ্য প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।নিয়মিত অনুশীলন, চেষ্টা ধৈর্য আপনার চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করবে।


যারা খুব শুকনা তারা মোটা হওয়ার উপায়গুলো জেনে নিন।
তাই প্রথমে আমরা জেনে নেই আসুন এবার জেনে নিন আপনার উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত…


উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত


উচ্চতা: ৪ ফুট ৭ -> পুরুষ: ৩৯-৪৯ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৩৬-৪৬ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪১-৫০ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৩৮-৪৮ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪২-৫২ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৩৯–৫০ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৪-৫৪ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪১–৫২ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৫-৫৬ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪২-৫৩ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ০ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৭-৫৮ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪৩-৫৫ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৮-৬০ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪৫-৫৭ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫০-৬২ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪৬-৫৯ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫১-৬৪ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪৮-৬১ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫৩-৬৬ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৪৯-৬৩ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫৫-৬৮ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৫১-৬৫ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫৬-৭০ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৫৩-৬৭ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫৮-৭২ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৫৪-৬৯ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬০-৭৪ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৫৬-৭১ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬২-৭৬ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৫৭-৭১ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৪-৭৯ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৫৯-৭৫ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৫-৮১ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৬১-৭৭ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৬ ফুট ০ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৭-৮৩ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৬৩-৮০ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৬ ফুট ১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৯-৮৬ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৬৫-৮২ কিলোগ্রাম।
উচ্চতা: ৬ ফুট ২ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৭১-৮৮ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৬৭-৮৪ কিলোগ্রাম। 
সূত্র: জি নিউজ

আপনাদের জন্য রইল ওজন বাড়ানোর ১০টি উপায়
১. সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস

ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন ৷সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।
২. খান প্রচুর শাক সবজি ও ফল

ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি খেলে ওজন বাড়বে।
যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।
৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ান

খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।
৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন

অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে।
৫. খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুবো তেলে ভাজা খাবার

ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির স্যালাড।
৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন

ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল মোটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তো বটেই, তাছাড়া ব্যায়ামের ফলে খিদেও পাবে আর মন ভরে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেনারের নির্দেশে ব্যায়াম করতে হবে। নাহলে হিতে বিপরীত হবার আশঙ্কা।
৭. খান “ফ্যান” ভাত-

অধিকাংশ মানুষই ভাতের ফ্যান ফেলে দেয়৷ ফ্যান ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় ফ্যানের সঙ্গে। ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের ফ্যান না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চালের ফ্যান ভাত মজাও লাগবে খেতে।
৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু

ওজন বাড়াবার জন্য একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।
৯. কমান মেটাবলিজম হার

মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।
১০. খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কিছু বিশেষ খাবার

সাস্থের জন্য ২০টি সঠিক খাদ্য


আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।
এরপরেও যদি ওজন না বাড়ে তাহলে চিকিৎকের সাহায্যে শরীর পরীক্ষা করে যদি কোনো রোগ পাওয়া যায়, তার চিকিৎসা করাতে হবে। পেটের অসুখ, কৃমি, আমাশয় অথবা কোনো সংক্রামক রোগ থাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেও ওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজন কমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম, নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে।
সাস্থের সঠিক বৃদ্ধির জন্য ২০টি সঠিক খাদ্যের তালিকা।
আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরির জাঙ্ক ফুড অথবা কেবল পুষ্টিকর খাদ্য খেলেই হবেনা। আপনাকে এমন খাদ্য বেছে নিতে হবে যাতে পুষ্টির ও শক্তি উভয়ই আছে পরিমাণ মত। এখন আমারা আপনাকে ২০টি খাদ্যের তালিকা জানাবো যা খেলে আপনি সু-স্বাস্থ্যের জন্য পাবেন সঠিক পরিমাণ পুষ্টি।
১। চিনাবাদামের মাখনঃ সকালের নাস্তায় রুটিতে হালকা করে চিনাবাদামের মাখন মেখে খেতে পারেন। এটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি দিবে প্রায় ১৯২ ক্যালরি!
২। একটা গোটা ডিমঃ এটি প্রোটিন ও তিন রকমের ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে আছে ভিটামিন A, D, E এবং প্রচুর পরিমাণ কলেস্টেরল।
৩। বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবার আপনার নাস্তার তালিকায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন প্রায় ৫০০ ক্যালরি। এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা আপনার সকালের নাস্তাকে সু-স্বাদু করে তুলবে।
৪। মাখনঃ মাখন আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তবে মাখন খেতে হবে পরিমাণ মত। কারন প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে।
৫। বন রুটিঃ বন রুটিতে থাকছে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট।
৬। ভুট্টা রুটিঃ ভুট্টার রুটি খেতে পারেন সকালে বা বিকেলে। ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আপনি সুপের সাথে ভুট্টার রুটি খেতে পারেন।
৭। পনিরঃ এক চামচ পনিরে থাকে ৬৯ ক্যালরি শক্তি। পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে তাই এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল।
৮। ফলের রসঃ ফলের রস হচ্ছে ওজন বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর পথ। ১০০% ফলের রস আপনার শরীরে দেবে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পুষ্টি।
৯। পাস্তা ও নুডুলসঃ পাস্তা ও নুডুলস খাদ্যশস্য ও শর্করার একটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য যোগান তাই এটি একটি সুস্থ এবং উচ্চ ক্যালোরি খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন।
জানেন কি?
১০। চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
১১। গমের পাউরুটিঃ গমের পাউরুটি খেয়ে আপনি পেতে পারেন ৬৯ ক্যালোরি শক্তি। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে।
১২। শুকনো ফলঃ আপনি দ্রুত ক্যালোরি পেতে পারেন শুকনো ফল খেয়ে। শুকনো ফলে পাকা ফলের মতই প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
১৩। যবের রুটিঃ যবের রুটিও হতে পারে আপনার সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও পুষ্টি।
১৪। দইঃ দই আপনাকে ১১৮ ক্যালোরির সমপরিমাণ শক্তি যোগাবে। এটা চর্বি বিহীন শক্তিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে দই অন্তর্ভুক্তি করুন।
১৫। স্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেলঃ আপার খাদ্য তালিকাতে পরিমাণ মত চর্বি যুক্ত করুণ এর ফলে আপনার ক্যালোরির অভাব পুরন হয়ে যাবে। ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
১৬। বাদামী চালঃ বাদামী চাল আপনাকে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান ফাইবার দিবে।
১৭। কলাঃ একটি কলাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি। কলাতে ক্যাবল ক্যালোরি থাকে তাই নয় এটি আপনার কর্ম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১৮। বাদাম এবং বীজঃ স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাদাম ও বীজ খেতে হবে। বাদাম ও বীজে রয়েছে polyunsaturated চর্বি যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
১৯। মটরশুটিঃ নিরামিষীদের জন্য মটরশুটি প্রোটিনের প্রধান উৎস। তাই আপনি মটরশুটি প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
২০। আলুঃ আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট ও complex sugar। নিয়মিত রান্না ও সিদ্ধ আলু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে পারেন।

স্বাস্থ্য মোটা করা কিছু টিপস


টিপস-১: যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং রাতের ঘুম ঠিক রাখেন, তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য মোটা করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।
টিপস-২: একটা নিদিষ্ট সময় ধরে খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন। সকালে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে পারেন। হ্যাম বার্গার, ভাজা খাবার, চিকেন ব্রেস্ট খেলেও ক্ষতি নেই।
টিপস-৩: সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য মোটা হয়। এতে বেশি পরিমানে ইন্সুলিন থাকে। ইন্সুলিন হরমোন তৈরি করে। যার সাহায্যে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন, তখন পানি পান করুন; সফ্ট ড্রিংকস্ নয়। এমনকি ডায়েট সফ্ট ড্রিংকস্ও নয়। এটা খেলে আপনি ফ্যাটি ফুড খেতে পারবেন না।
টিপস-৪: এনার্জি ফুড খেলেও আপনি মোটা হবেন। শরীরে যদি এনার্জি ফুড না থাকে তাহলে শরীরে শক্তিই থাকে না মোটা হওয়া তো দূরের কথা। উদাহরণে বলি: আপনি কখনো ব্যাটারিতে ল্যাপটপ কম্পিউটার চালাতে পারবেন না যদি প্লাগ না দেন। শরীরও তার ব্যতিক্রম নয়।
টিপস-৫: টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় টেনশন দূর করে।
টিপস-৬: প্রচুর ফল খান। ফল পুষ্টিকর খাবার এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন সিরাপ, কুবিথ, গাম, জ্যাম, জ্যালি খান এতে ফ্যাট আছে যা আপনার স্বাস্থ্য মোটা করবে।
আপনি খুব দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কিভাবে এত দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব। তবে মোটা হতে গিয়ে যেন আবার অসুস্থ হয়ে না পড়েন সেদিকে নজর রাখবেন কিন্তু!

মোটা হতে এই নিয়মগুলো লক্ষ্য করুন

ব্যক্তির পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী খাবার খেতে হবে।
– অল্প করে বারবার খাবার খেতে হবে।
– উচ্চ ক্যালরি, উচ্চ শর্করাসম্পন্ন খাবারে সমন্বয় হবে।
– পুষ্টিহীনতা থাকলে সাপ্লিমেন্ট নিতে হতে পারে।
– খাবারে অরুচি থাকলে অ্যাপিটাইজার বা রুচি বাড়াতে খাবার বা সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
-পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, ফলের রসও পান করতে হবে নিয়ম করে।
– পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
-এ ছাড়া খালি হাতে ব্যায়াম, সাইকেল চালাতে বা সাঁতার কাটতে পারেন। এসব ব্যায়াম ক্ষুধা ও হজমশক্তি বাড়াবে।
* ওজন বাড়াতে প্রতিদিনে একটি খাদ্য তালিকা দেখে নিন :সকালের খাবার

– ভাত/পরোটা/খিচুড়ি
– ডিম: পোজ/ভাজি
– সবজি: ভর্তা/ভাজি
– মিষ্টিজাতীয় খাবার
মধ্যসকাল

– পুডিং/মিল্ক সেক/ব্রেড টোস্ট
– মিষ্টি ফল: একটি/শরবত/মিষ্টি
দুপুর

– ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইস, মাছ ভাজি, মাংস ভুনা, কাবাব/টিকিয়া, ঘন ডাল
– সবজি: ভাজি/ভর্তা
– সালাদ: ড্রেসিংসহ সালাদ (অয়েল ড্রেসিং)
সন্ধ্যা

– হালিম, ডিম-পরোটা, নুডলস, কেক, মিষ্টি, পিঠা, ফলের রস, ফল।
– রাতের খাবার: দুপুরের ধাঁচে হবে।
– ঘুমাতে দেরি হলে মিল্ক সেক, দুধ-সেমাই/ফিরনি/হালুয়া খেতে পারেন
এটি একটি সর্বজনীন খাদ্যতালিকা। ব্যক্তিভেদে এই খাবারের তালিকা পরিবর্তন ও পরিবর্ধিত হতে পারে।

দ্রুত ওজন বাড়ানোর পরামর্শ


বেশি পাতলা কিংবা চিকন শরীর নিয়ে অনেকে ভালই সমস্যাতে আছে। যাদের বয়স অনুযায়ী শরীর এর ওজন অনেক কম তাদের চিন্তার শেষ থাকে না। অনেকে হয়তো আপনাকে “পাতলু খান বা হাড্ডি মন্ত্রী” বলে রসিকতা করে … এ ই লজ্জায় তাদের সাথে মিশতে পারেন না। বয়স হিসাবে ওজন কম থাকায় অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে অনেক ঔষধ খেয়েছেন,তবুও ফল পাচ্ছেন না।একটা ডাক্তার এর ঔষধ সেবন করে কাজ না করলে নতুন ডাক্তার এর ঔষধ সেবন করেছেন।তবুও ভাল ফল পাননি।যদিও বিষয়টি অনেকটা হরমোন জনিত সমস্যা। কেউ কেউ আছে, যারা অনেক খেলেও মোট হয়না ।
তারা এই পরামর্শ গুলো দেখতে পারেন আশা করি ভাল ফল পাবেন…
কখন বুঝবেন আপনার ওজন বাড়ানো দরকারঃ

বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে ১৫-২০ শতাংশ কম হলে তাকে কম ওজনের অধিকারী বলা হয়। দেহের ওজন বেশি না কম তা জানা যায় শরীরের ঘনত্বসূচক বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই দিয়ে।
বিএমআই = ওজন (কিলোগ্রাম)/উচ্চতা (মিটার)।
বডি ম্যাস ইনডেক্স ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমনঃ ভাষা হতে হবে ইংরেজি, উচ্চতা যদি সেঃমিঃ ব্যবহার করেন তাহলে ওজন অবশ্যই কেজি হবে, আবার উচ্চতা যদি ইঞ্চি ব্যবহার করেন তাহলে ওজন অবশ্যই পাউণ্ড হবে, আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি কনভার্শন দেখানো হলোঃ
১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেঃমিঃ, ১০০ সেঃ মিঃ=১ মিঃ, ১ ফুট = ০.৩০৪৮ মিঃ = ৩০. সেঃ মিঃ।
১ কেজি = ২.২ পাউণ্ড।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮.৫ এর কম হলে কম ওজন, ১৮.৫ থেকে ২৪.৯৯ হলে স্বাভাবিক এবং ২৫ এর বেশি হলে অতি ওজন ধরা হয়। সাধারণভাবে বিএমআই ১৮.৫-এর নিচে হলে ওজন বাড়ানো উচিত।
অনেক এ আছে প্রচুর পরিমান এ খাওয়া দাওয়া করেন কিন্তু যেই রোগা সেই রোগাই থেকে যান।অনেক খাওয়ার পর ও ওজন বাড়াতে পারেন না।এদের বলা হয় হার্ডগেইনার (হজমশক্তি) মেটাবলিজম খুব হাই থাকায় খাওয়ার সাথে সাথে ক্যালরি বার্ণ হয়ে যায়।আর যাদের মেটাবলিজম খুব লো তারা খেলেই মোটা হয়ে যান।বাংলাদেশে মেটাবলিজম লো এমন মানুষ ই বেশি।
অনেক এ আছে জিম এ ব্যায়াম করার পর ও ওজন কিছুতেই বাড়াতে পারেন না।তাদের মাসেল বাড়ে কিন্তু ফ্যাট বাড়ে না।
এখন কি চিন্তাই আছেন যে মেটাবলিজম কি ভাল করা যাবে না? বা কি ঔষধ খেলে মেটাবলিজম বা (হজমশক্তি) ভাল হবে?
মেটাবলিজম ভাল করতে কোন ডাক্তার বা ঔষধ এর প্রয়োজন হবে না।নিজের চেষ্টায় আপনি নিজেই ভাল করতে পারবেন। তবে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে মেটাবলিজম (হজমশক্তি) ভাল করবেন।
একজন মানুষ এর প্রতিদিন ২হাজার ২৮০ কিলো ক্যালরি বা সর্বনিম্ন ১৮০০ক্যলরি দরকার।
আবার অনেক এ হয়তো ভাবছেন ক্যালরি কি?

ক্যালরি হচ্ছে আমাদের শরীর এর শক্তির একক, যা দিয়ে কোন খাবার হতে আমাদের শরীরে কত শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয়।খাদ্য থেকে তৈরী তাপশক্তি পরিমাপ করে খাবার এর ক্যালরি মান নির্ণন করা হয়।খাবার এর ক্যালরি শরীরে জ্বালানি শক্তির মত কাজ করে এবং তা থেকে আমরা সারাদিন কাজ করার শক্তি পাই।
আমরা যদি কোন কাজ নাও করি তবুও প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭০ক্যালরি বার্ণ হয়।তাইলে একবার ভাবুন কাজ করা অবস্থায় আমাদের শরীর থেকে কতটুকু ক্যালরি বার্ণ হচ্ছে।যারা হার্ডগেইনারদের মধ্যে তারা ৩ বেলা খাবার খাওয়ার সাথে সাথে সেই ক্যালরি বার্ণ হতে থাকে।তারপর আবার প্রতিঘন্টায় কিছু না কিছু ক্যালরি বার্ণ হতেই থাকে।যেমন আপনি ভাত খান কিন্তু খুব কম তাই মনে করি ৩ বেলা খেয়ে আপনার শরীর ১২০০/১৫০০ ক্যালরি গ্রহন করলো।তাইলে নিজেই হিসাব করুন প্রতিদিন আপনি গ্রহন করলেন ১৫০০ক্যালরি আর প্রতিঘন্টায় কোন কাজ না করলেও ক্যালরি বার্ণ হয় ৫৫থেকে ৭৫ ক্যালরি তাইলে আপনার শরীর এ আর কত ক্যালরি থাকে বেশি হলে ৩০০/৪০০ক্যালরি। আর প্রতিদিন একজন মানুষ এর দরকার ১৮০০থেকে ২২০০ক্যালরি।এবার হইতো বুঝতে পেরেছেন যে কেন বয়স এর অনুযায়ী ওজন বাড়ে না।
তাই ওজন বাড়াতে হলে তাদের প্রথম কাজ হলো ক্যালরি ধরে রাখা।
কিভাবে ক্যালরি ধরে রাখবেন?

নির্দিষ্ট ক্যালরি ধরে রাখার পর যেই ক্যালরি টুকু জমা হয় সেই টুকুই ফ্যাট হওয়ার কাজে সাহায্যে করে।আর প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭৫ ক্যালরি বাড়তি খাওয়া সম্ভব না যেই ক্যালরি টুকু বার্ণ হয়।তাই আপনি যদি ৩ বেলার খাবার খাওয়ার জাইগায় আর ৩বেলা যুক্ত করেন তবে আপনি অধিক পরিমাপান ক্যালরি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং বাকি ক্যালরি টুকু আপনাকে ফ্যাট হতে সাহয্যে করবে।একবার খাবার খেয়ে ৩০০/৪০০ক্যালরি গ্রহন করার পর ২.৫/৩ঘন্টা সময় লাগে হজম হতে তারপর আপনার শরীর আবার নতুন ক্যালরি গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত হবে। তাই ৩ঘন্টা পর পর খাওয়া ভাল আর সব সময় চেষ্টা করবেন ৪০০- এর জাইগায় ৪০০+ক্যালরি গ্রহন করতে।তাহলে আপনার একটা বাড়তি অংশের ক্যালরি থাকবে শরীর এ যেটা আপনাকে ফ্যাট হতে সাহায্যে করবে।
হজমশক্তি ভাল করতে হলে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু খাওয়া উচিত।এতে ক্যালরি বার্ণ হলেও আবার ফিরে পেতে সাহায্যে করে এবং শরীর ফ্যাট করতে ও অনেক কার্যকরী।
তাহলে আশা করি বুঝে গেছেন বয়স এর সাথে ওজন না বাড়ার কারনগুলো।
যারা একদম খেতে পারে না তারা যত পারবেন বেশি করে খাবেন কারন বেশি করে খেলে আপনার ভাল ছাড়া ক্ষতি হবে না।
এবার শরীরের ম্যাজিক একটু ভালো করে খেয়াল করুন…।

মানুষ না খেয়ে থাকলে প্রথমে শরীরে সঞ্চিত চর্বি বার্ন করে শক্তি জোগাবে। ধীরে ধীরে পেশি বার্ন হতে শুরু করবে। এভাবে শরীর ক্ষয় হবে এবং মানুষ দিন দিন রোগা হতে শুরু করবে।
*** আপনি যদি ৩ ঘণ্টায় ৩০০-এর বদলে ৩০০+ ক্যালরি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর ৩ ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি বার্ন করে শরীরের শক্তি জোগাবে। বাকি ক্যালরি সোজা ফ্যাট হিসেবে জমা করতে শুরু করবে (ছেলেদের বেলায় তলপেট থেকে এবং মেয়েদের বেলায় নিতম্ব এবং উরু থেকে জমা শুরু হবে)।
*** আপনি যদি ৩ বার খান, তাহলে গড়ে ৫-৬ ঘণ্টা পর পর ৬০০ ক্যালরি করে খেতে হবে। ৩ ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি ঠিকমতো হজম হবে, বাকি খাবার হজম না হয়ে ফ্যাট জমতে শুরু করবে এবং পরের ৩ ঘণ্টা শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করবে।
**** শরীর যখন দেখবে আপনি ৩ ঘণ্টা পর আবার খাবার দিচ্ছেন না তখন সে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করবে এবং সেটা ফ্যাট হিসেবে। এভাবে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়মিত হতে শুরু করলে মেটাবলিজমের ১২টা বেজে যাবে।
যা খাওয়া হজম হওয়া মাত্রই যদি আবার খাবার দেন (৩ ঘণ্টা পর পর) তখন শরীরের আর বাড়তি কষ্ট করে অভ্যন্তরীণ শক্তি সঞ্চয় করতে হবে না অর্থাৎ ফ্যাট জমাবে না। তখন শরীর পুরো দৃষ্টি দেবে আপনার বাহ্যিক কাজের ওপর। মানুষ এ সময়ই ‘কাজ-কর্মে বল’ পায় বলে।
অর্থাৎ হজমশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত অল্প অল্প করে ঘন ঘন খেতে হবে।
ঔষধ সেবন করলে আপনি কি পাবেন?

অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খান এটা কখনোই ঠিক না।এতে অনেক সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যা হইতো আপনি নিজে বুঝতে পারবেন না।
ঔষধ খেয়ে আপনি হয়তো সাময়িক সময় এর জন্য মোটা হবেন।একে মোটা বলা যায় না আপনি শরীর ফুলে উঠবে।কিন্তু আপনি যখন ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিবেন তখন আবার আগের মতই কাবু্ হয়ে যাবেন। এতে করে অনেক এর কাছেই হাসির পাত্র হয়ে যাবেন।নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আমি অনেক মানুষ কে দেখেছিলাম ঔষধ খেয়ে হঠাৎ করেই মোটা হয়ে গেছে আবার ঔষধ খাওয়া অফ করে দিল আবার আগের মত অর্থাৎ আগের চেয়ে খারাপ … এছাড়া ঔষধ খেয়ে হটাত মোটা হলে সারা শরিল জুরে বিশ্রী ফাটা দাগ দেখা যায় ।
একটা কথা মনে রাখবেন যে জিনিশ দ্রুত সৃষ্টি সেই জিনিশ তত দ্রুত নিঃশেষ হয় ।
ন্যাচারাল খাবার খেয়েই শরীর বানালে এতে শরীর সুস্থ থাকে।এবং শরীর কমার কোন ভয় নেই।আমি আপনাদের কে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং জিম ট্রেইনারদের পরামর্শ দিব, কিভাবে ন্যাচারাল খবার খেয়ে মোটা হওয়া যায় এবং শরীর ফিট রাখা যায়।
শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।

এইভাবে প্রতিদিন খাবার খেয়ে ব্যায়াম করলে ১ মাস এর মধ্যে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
কিন্তু কি খাবেন?

অবশ্যই ব্যালান্সড ফুড! অর্থাৎ প্রতিবার খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০ ভাগ প্রোটিন, ৩০ ভাগ কার্ব, ৩০ ভাগ ফ্যাট হতে হবে।
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল ও প্রচুর পানি।

ব্যায়াম ওজন বাড়ানোর উপায়


জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন-
ভ্রু কুঁচকে গেলো পড়ে? ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল মোটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তো বটেই, তাছাড়া ব্যায়ামের ফলে খিদেও পাবে আর মন ভরে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের নির্দেশনা মাফিক ব্যায়াম করতে হবে। নাহলে হিতে বিপরীত হবার আশংকা।
কিভাবে ব্যায়াম করবেনঃ
জিমে গিয়ে হার্ড ব্যায়াম করতে হবে। ওয়েট বেশি, রেপস কম। সপ্তাহে ৩ দিন (একদিন পর পর) ব্যায়াম করবেন। প্রতিটা সেশন ৬০ মিনিট থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে রাখবেন। কেননা এর পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে আসবে। তখন ব্যায়াম চালিয়ে গেলে পেশি ক্ষয় হবে। জিম শুরুর দুই ঘণ্টা আগে খাবেন এবং শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই আবার খাবেন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেবেন, ঘুমাবেন। প্রথম দিন বুক, পিঠ এবং পেটের ব্যায়াম। দ্বিতীয় দিন পা এবং পেট। তৃতীয় দিন কাঁধ, বাহু, পেট।
দুই সপ্তাহ ঠিকমতো সব কিছু অনুসরণ করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই কেজি ওজন বাড়বে। কিন্তু এরপর আর যতই খান, আপনার শরীর আর নিতে পারবে না, কেননা আপনার এনাবলিক হরমোন আবার নরমাল পর্যায়ে চলে আসবে। তখন শরীরের বৃদ্ধিও কমে আসবে। তাই পরের সপ্তাহে খাওয়া অনেক কমিয়ে দিতে হবে। ১ হাজার ৩০০-১ হাজার ৫০০ ক্যালরির মতো খাবেন। খাদ্য খুব ক্লিন হতে হবে। ফ্যাট আর কার্ব তুলনামূলকভাবে কম খাবেন।
এই সপ্তাহের জিমের সেশনগুলো এমন হতে পারে———সেশন ১. বুক, কাঁধ, ট্রাইসেপ, পেট
সেশন ২. পা, পেট
সেশন ৩. পিঠ, বাইসেপ, পেট
খুব হালকা ওয়েট নিয়ে ১০ থেকে ১৫ রেপস করে দেবেন। শরীরের ওপর খুব চাপ দেবেন না। কেননা এই সপ্তাহে আপনি খাচ্ছেন কম। এ সপ্তাহটা হবে শরীরের মেইনটেনেন্স পর্ব মাত্র। এ পর্বে শরীর থেকে কিছুটা পানি বেরিয়ে যাবে, তাই একটু হালকা হয়ে যাবেন। একটু ওজন কমে যাবে। এটা দেখে ভেঙে পড়বেন না। কেননা পরের দুই সপ্তাহে বেশি খাবার ও হার্ড ব্যায়ামের ফলে শরীর আবার ফুলতে শুরু করবে। পেটে খাবার পড়া মাত্রই শরীর স্পঞ্জের মতো চুষে নেবে।
এভাবে প্রতি ৩ সপ্তাহে এক-দুই কেজি করে ওজন বাড়বে। এই টেকনিকটা যতদিন না আপনার ওজন পর্যাপ্তের বেশি হচ্ছে ততদিন চালিয়ে যাবেন। ধরুন, আপনার ওজন দরকার ৭০ কেজি, তাহলে ৭৫ কেজি পর্যন্ত বাড়াবেন। তারপর অন্য টেকনিকে ব্যায়াম করে বাকি ৫ কেজি, ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
*** *যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।

নিজের চেষ্টায় স্বাস্থ্য মোটা করুন


স্বাস্থ্য মোটা করার জন্য নিজেকে সব-সময় সক্রিয় রাখুন। এখন আপনি মোটা করার নিয়ম অনুসরণ করে কাজ শুরু করুন।

আপনার সক্রিয় চেষ্টার ফলাফল আপনি নিজেই কিছু দিন পরে অনুভব করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি ওজন পরিমাপ করে দেখতে পারেন।

যদি এক সপ্তাহেও আপনার ওজনের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার স্বাস্থ্য এ উপায়ে মোটা হওয়া সম্ভব নয়।

তাহলে আপনি অন্য উপায় অবলম্বন করুন।

১) নিজের মনোবল বৃদ্ধি করুন এবং রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ১টি কৃমির ট্যাবলেট চুষে খাবেন। আপনি ঠিক ৭ দিন পরে আবার ১টি কৃমির ট্যাবলেট খাবেন (ভুল করবেন না)।

২) সূর্য উদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে উঠুন।

৩) ব্যায়াম করার পোশাক পরিধান করে ব্যায়ামের জন্য গমন করুন।

৪) প্রথমে উঁচু কদমে দৌঁড়ে ব্যায়াম করুন এবং এমন ভাবে দৌঁড়াবেন যাহাতে আপনার শরীরের মাংস নড়তে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ব্যায়াম করুন যাহাতে আপনার সম্পূর্ণ শরীরের জয়েন্ট গুলো ব্যায়ামের আওতায় আসে (প্রথম প্রথম ব্যায়াম করার সময় আপনার শরীর ব্যাথা হবে)। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

৫) আপনি সকাল-বেলা ব্যায়াম করার ৭-৮ মিনিট পরে প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহন করুন। আপনার খাদ্য তালিকায় যা যা থাকবে- ডিম-১টি, কলা-১টি, কাঁচা পেঁপে এক টুকরা, আপেল-১টির অর্ধেক, কমলা-৩-৪ কোয়া, আঙ্গুর-৫-৭ টি, ছানা-মাখন-২০ থেকে ৩০ টাকার মত এবং পানি (বৃষ্টির পানি হলে ভালো হয়। বিদেশী ফল খাবার পূর্বে লবনযুক্ত পানিতে ১ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন এতে ৯০% ফরমানি মুক্ত হওয়া সম্ভব এবং এছাড়াও সবচেয়ে দেশী ফল উত্তম)। আপনি এখন খাবার পরে ৩০ মিনিট বিশ্রাম করুন। দুপুর ১১:৩০ মিনিটে সময় আপনি একটি ডাব এবং সাথে আপনার পছন্দের খাবার খাবেন।

৬) আপনি প্রতিদিন দুপুর ২ টার মধ্যে খাবার খাবেন এবং খাওয়ার পর স্বয়ার কম্পানির মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট প্রতিদিন ১টি করে খাবেন ও খাবার পরে ১-২ ঘন্টা ঘুমাবেন।

৭) বিকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ ধৌঁত করে ১ গ্লাস দুধ পান করবেন। যদি পারেন বেদানা খাবেন (১টি বেদান ৪-৫ দিন করে)।

৮) সন্ধ্যার পরে ১টি ডিম ও এর সাথে ময়দার রুটি খাবেন। এছাড়াও ১টি অথবা ২টি মিষ্টি খাবেন।

৯) রাতে ১০টার মধ্যে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে খাবার ৩০ মিনিট পূর্বে ১টি ট্যাবলেট খাবেন তারপরে রাতে খাবার খেতে ব্রাশ ঘুমাতে যাবেন।

১০) আপনি এভাবে অভ্যাস চালিয়ে যান। যেহেতু স্বাস্থ্য সৃষ্টিকর্তার দান। তাই সৃষ্টিকর্তার কৃপা ব্যাতীত চিকন স্বাস্থ্য মোটা হওয়া সম্ভব নয়। আসা করি আপনি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন।

কোন খাদ্যে কত ক্যালরি?


সাদা চালের ভাত এক কাপ ২০০-২৪২ ক্যালরি
লাল চালের ভাত এক কাপ ২১৮
সাদা পাউরুটি এক স্লাইস ৬৭-৯৬
লাল পাউরুটি এক স্লাইস ৬০-৮৯
বান রুটি একটি ১৫০
সাদা আটার রুটি একটি ৭২
লাল আটার রুটি একটি ৬০
পরোটা তেলে ভাজা একটি ২৪৩-২৯০
আলু পরোটা একটি ৩০০
লুচি একটি ১৪০
নান রুটি একটি ৩১২
নান রুটি মাখন সহ একটি ৪২৪
চালের রুটি একটি ১০৫
রুমালি রুটি একটি ২০০
রুমালি রুটি ঘি সহ একটি ২৪৫
তন্দুরি রুটি ঘি সহ একটি ১০২-১২০
তন্দুরি রুটি ঘি ছাড়া একটি ১৪৭
মুগ ডাল খিচুড়ি ৩/৪ কাপ ১৭৬-২১৫
পোলাউ এক কাপ ২৫৮
চিকেন বিরিয়ানি এক কাপ ৪১৮
সবজি বিরিয়ানি এক কাপ ২২০
খাসির বিরিয়ানি এক প্লেট ৪৭০
ফ্রাইড রাইস এক কাপ ১২০-৩৯০
নুডুলস সিদ্ধ এক কাপ ২২০
চাওমেই এক প্লেট ১৮২০-২৪৩০
ময়দা এক কাপ ৪৫৫
সাদা আটা এক কাপ ৪০০
লাল আটা এক কাপ ৩৫৬
চালের আটা এক কাপ ৫৭৮
দুধ এক কাপ ১৪৬
লো ফ্যাট দুধ এক কাপ/২৪০ মিলি ৯০
কনডেন্সড মিল্ক ১/২ কাপ ৪৯০
সয়া দুধ এক কাপ ৯০
মসুর ডাল রান্না করা এক কাপ
১০০ গ্রাম
২২৬
১১০
মুগ ডাল রান্না করা এক কাপ ১৫০ বুটের ডাল রান্না করা এক কাপ
১০০ গ্রাম
১০৭
১৪৫
ডিম সিদ্ধ একটি ৭৫(৬০ কুসুম +১৫ সাদা অংশ)
ডিম ভাজি একটি ৯২-১৭৫
ডিম পোচ তেল ছাড়া একটি ৮০
ডিম পোচ তেল দিয়ে একটি ২০২
টিক্কা মুরগি ১০০ গ্রাম ১৪৮
মুরগি ভুনা ১০০ গ্রাম/আধা কাপ ১৩২—৩২৩
মুরগির কোর্মা ১০০ গ্রাম ২৫০
চিকেন ফ্রাই একটি/১২৮ গ্রাম ৩৯০
চিকেন কাটলেট একটি ৩৭৫
মাছ কারি ১০০ গ্রাম ৩২৩-৫০০
চিংড়ি মাছ কারি ১০০ গ্রাম ২৬১
মাছের কাটলেট একটি ২২৮
ফিশ ফিঙ্গার তিনটি ১৬২
গরু ভুনা এক কাপ ৪৩৪
গরুর কোর্মা ১১৫ গ্রাম ১৬৭
গরুর শিক কাবাব একটি শিক ১৬০
গরুর সামি কাবাব একটি ২১০
গরুর কিমা রান্না করা ২৫০ গ্রাম/এক কাপ ৫৫৫
গরুর কাটলেট একটি ৫০০
গরুর কলিজা কারি ১০০ গ্রাম ১৩৫
মুরগির কলিজা কারি ১০০ গ্রাম ১৭২ ১ কাপ ২৩৪ -৩৫৩
খাসির কোর্মা ১১৪ গ্রাম ১৪৩
খাসির রেজালা ১০০ গ্রাম ৩২৩
খাসির কিমা রান্না ১০০ গ্রাম ১৭৫
মিক্সড সবজি সিদ্ধ ১ কাপ ৫০
মিক্সড সবজি ভাজি ১ কাপ ১১০
মিক্সড সবজির কোর্মা ১/২ কাপ ১৭৩
মিক্সড সবজি(লাবড়া/ কারী) ২০০ গ্রাম ১৯০
সবজির কোফতা কারি ১০০ গ্রাম ১৪৭
মিক্সড সবজি স্টার ফ্রাই ১ কাপ/ ২০৭ গ্রাম ৪০-১১২
লাল শাক ভাজি ১/২ কাপ ৫০
পালং শাক সিদ্ধ ১ কাপ ৪১
বেগুন ভর্তা ১০০ গ্রাম ৭০
আলু ভর্তা ১০০ গ্রাম ১৫০
ঢেরস ভাজি ১ কাপ ১৩০
আলুর দম ১০০ গ্রাম ১০৫
বেগুন ভাজি এক পিস ১১৪
আলুর চিপস এক মুঠো ১৬০
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ১০০ গ্রাম ২৯৪
বিফ বার্গার একটি ১১০-৬৬০
চিকেন বার্গার একটি ২১০-৪৫০
চিকেন স্যান্ডউইচ একটি ২৭৫
পিজ্জা ছোট আকারের ১৬৮০-২৩১০
হট ডগ একটি ২৫০
চিকেন রোল একটি ২৩৫
চিকেন শর্মা একটি ৪৭৫
ফুসকা একটি ৫০ চটপটি ১/২ কাপ ৫০০
পাপড় তেলে ভাজা একটি ৪৩
পাপড় গ্রিল্ড/ মাইক্রোওভেন একটি ৩০
নিমকি একটি ১৬৩
ক্রিম বিস্কিট একটি ৭০-১৪০
এনার্জি/গ্লুকোস বিস্কিট একটি ২৩-৩৩
টোস্ট বিস্কিট একটি মাঝারি আকারের ৮৮
Digestive বিস্কিট একটি ৭৪
মেরী বিস্কিট একটি ১৬-২৮
নোনতা বিস্কিট একটি ৪০
চানাচুর ২০ গ্রাম ১১০
পেয়াজু/ পাকোড়া একটি ৬০—২১১
ডালপুরি একটি ১২৪
সিঙ্গারা একটি ২০০
সমসা একটি ১০৩-২৫৬
আলুর চপ একটি ১৫০-২৭৫
টমেটো সস এক টেবিল চামচ ২৫
মেয়নেইস এক টেবিল চামচ ১১০
লো ফ্যাট মেয়নেইস এক টেবিল চামচ ৪৫
পিনাট বাটার এক টেবিল চামচ ৯৪
মাখন এক টেবিল চামচ ১০০
মার্জারিন এক টেবিল চামচ ৬৮
সয়াবিন তেল এক টেবিল চামচ ১২০
জলপাই তেল এক টেবিল চামচ ১১৯
ক্যানোলা তেল এক টেবিল চামচ ১২৪
সরষের তেল এক টেবিল চামচ ৫৫
ঘি এক টেবিল চামচ ১১২
জেলি এক টেবিল চামচ ১১০
জ্যাম এক টেবিল চামচ ১০০
হরলিক্স এক টেবিল চামচ ২০
চকলেট ওভালটিন এক টেবিল চামচ ২০
ওভালটিন এক টেবিল চামচ ২০
চা ১ চা চামচ চিনি ও দুধ সহ এক কাপ ২৬
চা চিনি ও দুধ ছাড়া এক কাপ ২ কফি ১ চা চামচ চিনি ও দুধ সহ এক কাপ ৩৭
কফি চিনি ও দুধ ছাড়া এক কাপ ২ চিনি এক চা চামচ ১৬
মধু এক চা চামচ ২২ গুড় এক চা চামচ ২৫
প্লেইন কেক এক টুকরা ২১৮
চিজ কেক এক টুকরা ১৩৮০-১৬৭০
ফ্রুট কেক এক টুকরা ৩২০-৩৬৬
চকলেট কেক এক টুকরা ২৩৫
পেস্ট্রি এক টুকরা ৩৩০-৪০০
আইস ক্রিম এক কাপ ২৬৭-৭২০
কোমল পানীয় এক বোতল/ ক্যান ১৫০
আপেলের জুস(চিনি ছাড়া) এক গ্লাস ১১৭
আঙ্গুরের জুস (চিনি ছাড়া) এক গ্লাস ১৫৪
কমলার জুস (চিনি ছাড়া) এক গ্লাস ৯৫
পেপের জুস (চিনি ছাড়া) এক গ্লাস ১৪১
মিক্সড সবজি ও ফলের জুস এক গ্লাস ৭২
লাচ্ছি (চিনি সহ) এক গ্লাস ১০০-১৫০
চকলেট মিল্ক সেক এক গ্লাস ৯০০
ডাবের পানি এক গ্লাস ৫০
বোরহানি এক গ্লাস ১০০
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ৫
ঢাকাই পনির ২ টেবিল চামচ ৪০
মজারেলা পনির এক কাপ ৩৩৬
লাড্ডু একটি ২০০-২৫০
রসগোল্লা একটি ১৫০
চমচম একটি ১৭৫
লালমোহন একটি ২৮৮
ছানার সন্দেশ একটি ১২০
বালুসাই একটি ২৫০
রসমালাই ৪ টি ২৫০
জিলাপি বড় একটি ২০০
গাজরের হালুয়া চিনি সহ এক বাটি ২৬০-৪০০
সুজির হালুয়া ৩০ গ্রাম/এক পিস ১০০
বুটের হালুয়া/ বরফি এক পিস ১৫০-২০০
পায়েশ ১০০ গ্রাম ১৪১
জর্দা ১/২ কাপ ২০০-৪০০
নারিকেলের বরফি একটি ১৯২
ক্যারামেল পুডিং ১/২ কাপ ১২০
পাটিসাপটা একটি ৩০০
ভাপা পিঠা একটি ৬০০
তেলের পিঠা(মালপোয়া) একটি ৩২৫
মিষ্টি দই আধা কাপ ২০০
টক দই আধা কাপ ৬০
ফালুদা এক গ্লাস ৩০০
ফলের কাস্টার্ড এক কাপ ১৭২-২৩২
কাঠ বাদাম এক মুঠো ১৬৮
পেস্তা বাদাম এক মুঠো ১৮৮
কাজু বাদাম এক মুঠো ১৭৮
চিনা বাদাম এক মুঠো ১৭০
কিশমিশ ১/২ কাপ ২১০
খেজুর একটি ২৩
আপেল একটি ৯০
সাগর কলা একটি ১১০
পেয়ারা একটি ৫০
আম এক কাপ ১০৭
আঙ্গুর এক কাপ ৬২
কালো জাম একটি ৩-৪
আনারস এক কাপ ৭৮
নাশপাতি একটি ৮১
কাঠাল এক কাপ ১৫৫
তরমুজ এক কাপ ৪৬
পেঁপে এক কাপ ৫৫
লিচু এক কাপ ১২৫
শশা ১/২ কাপ ৪
গাজর ১ কাপ ৫২
টমেটো ১ টি ৩০
লেটুস ৩ টি ৫
ক্যাপসিকাম ১ টি ১৫
ঔষধ সেবন করলে আপনি কি মোটা হতে পারবেন?

অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খান এটা কখনোই ঠিক না। এতে অনেক সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যা হইতো আপনি নিজে বুঝতে পারবেন না।
ঔষধ খেয়ে আপনি হয়তো সাময়িক সময় এর জন্য মোটা হবেন। একে মোটা বলা যায় না বরং আপনার শরীর ফুলে উঠবে। কিন্তু আপনি যখন ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিবেন তখন আবার আগের মতই কাবু্ হয়ে যাবেন। এতে করে অনেক এর কাছেই হাসির পাত্র হয়ে যাবেন। এমন অনেক মানুষ আছে যারা ঔষধ খেয়ে হঠাৎ করেই মোটা হয়ে গেছে আবার ঔষধ খাওয়া অফ করে দিয়ে আবার আগের মত হয়ে যায় অর্থাৎ আগের চেয়ে খারাপ। এছাড়া ঔষধ খেয়ে হটাৎ মোটা হলে সারা শরীর জুরে বিশ্রী ফাটা দাগ দেখা যায়। শরীরে এলার্জি বেরে যায় লাল লাল বিচি শরিরে বের হয়।আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
একটা কথা মনে রাখবেন যে জিনিস যত দ্রুত সৃষ্টি সেই জিনিস তত দ্রুত নিঃশেষ হয় ।
ন্যাচারাল খাবার খেয়ে শরীর বানালে এতে শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীর কমার কোন ভয় নেই। কিভাবে ন্যাচারাল খাবার খেয়ে মোটা হওয়া যায় এবং শরীর ফিট রাখা যায় তা উপরের অনুচ্ছেদে ধারনা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button