যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করতে ফের চালু হচ্ছে কনস্যুলার সেবা (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘিরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৩ আগস্ট থেকে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের নিয়মিত কনস্যুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে স্কলারশিপ পেয়েও ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রাখায় অনেক শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। দূতাবাসে বন্ধ থাকায় সাক্ষাৎকার পর্যন্ত দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। নতুন সুখবর হলো- যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করতে ফের চালু হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত এই কনস্যুলার সেবা।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস চলতি সপ্তাহে কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, আইনের শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ইতোমধ্যে শুরু করেছে এবং এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতি বছরে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যান। বরাবরের মতো এ বছরও বহু শিক্ষার্থী মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু দূতাবাসে বন্ধ থাকায় তারা সাক্ষাৎকার দিতে পারেননি। মূলত সেই প্রক্রিয়া জোরদার করতেই নতুন উদ্যোমে ফের কনস্যুলার সেবার চালু করতে যাচ্ছে দূতাবাসটি।
এদিকে, ড. ইউনূসের সঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে হেলেন লাফেভ আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে এবং ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ফলে রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সহায়তার ক্ষেত্রে কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করার মত। আগামীতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।