Education Tips

সৃজনশীল প্রশ্নে কিভাবে ১০ এ ১০ পাওয়া সম্ভব | সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম

সৃজনশীল প্রশ্নে কিভাবে ১০ এ ১০ পাওয়া সম্ভব | সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম

সৃজনশীল প্রশ্ন কিভাবে_১০_এ_১
০_পাওয়া_সম্ভব :

আমরা এখনো অনেকেই জানিনা যে সৃজনশীল কিভাবে লিখলে ভাল মার্কস পাওয়া পসিবল।কিন্তু এখন তোমাদের পুরো ৭০ মার্কস-ই সৃজনশীলে।
তাই আমি মনে করি সৃজনশীল লিখার মেথডটা আমাদের জানা উচিত।
দেখা যায় ৭ টা সৃজনশীল আসার পর আমরা অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তরও করতে পারিনা এর একমাত্র কারন হচ্ছে নিয়মের বাহিরে যেয়ে লিখা।
যার কারনে দেখা যায় প্রথমে অনেক বড় বড় করে লিখে লাস্টে এসে টাইম থাকেনা।

এজন্য প্রথমেই আমাদেরকে আগে টাইম ম্যানেজমেন্ট করে নিতে হবে।
আমরা প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট করে নিবো।
যেমন আমি এভাবে লিখতাম:
(ক+খ) ৫ মিনিটে লিখা শেষ করতাম।
(গ) ৬ মিনিট এবং (ঘ) ৯ মিনিটে লিখতাম।
আর লিখার দৈর্ঘ্যটা হবে ক+খ এর জন্য প্রথম পেজ অর্থাৎ এক পৃষ্ঠা।
গ হবে এক পৃষ্ঠা+অপর পৃষ্ঠার ওয়ান ফোর্থ।
আর ঘ হবে ওই পৃষ্ঠা শেষ করা এবং বাকি আরেক পৃষ্ঠা।
মোটকথা একটা সৃজনশীল এর জন্য দুই পাতার বেশী কোনোভাবেই নেয়া যাবেনা।
অনেকে বলেছো যে ভাইয়া লাইন হিসেব করে লিখবো কিনা।
তাদেরকে বলবো নাহ্
লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
এমন কোনো টিচার নেই যার কিনা টাইম আছে তুমি কত লাইন লিখলা তা গুনে দেখার।
তাই বলবো লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
তোমরা কি জানো সৃজনশীলে ভাল মার্কস কিসের ওপর ডিপেন্ডেন্ট!!!

সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম | সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার কৌশল 

১.টিচার ফার্স্টেই দেখবেন তুমি সৃজনশীলের নিয়ম ফলো করে লিখেছো কিনা
২.তোমার লিখার কোয়ালিটি (সুন্দর হাতের লিখা)
৩.সবার শেষে যেটি দেখে তা হলো তুমি কতটুকু লিখলা(আমি বানিয়ে বেশী লিখার কথা বলিনি কিন্তু, প্রয়োজনীয় পরিমানে লিখার কথা বলছি)
যাক এতক্ষণ আমরা লিখার সাধারন নিয়মগুলো বললাম।
এবার আমরা আসি ক+খ+গ+গ আমরা কিভাবে
লিখবো।

#ক ।
আমরা জানি এটা হলো জ্ঞানমূলক প্রশ্ন।যাতে ১মার্কস । তুমি এখানে জাস্ট জ্ঞানটা লিখতে পারলেই টিচার তোমাকে ১ দিতে বাধ্য।সেটা যদি এক শব্দেও লিখতে পারো তাহলেও।অনেকে আছে ১ মার্কসের জন্য লিখে ২-৩ লাইন।নো নিড।

#খ :
এটা হচ্ছে অনুধাবনমূলক।মার্কস ২।এটা লিখার পার্ট হবে ২ টা।একটা পার্ট হলো জ্ঞানের আর অপর পার্টটা হলো অনুধাবনের।তুমি যদি এর একটা লিখতে পারো বাকিটা না হয় তাইলে তুমি ১ মার্কস পাবে। পুরো ২ পাবেনা।যার দুটি পার্ট ই হবে সেই শুধু পুরো ২ পাবে।এই পার্টদুটো কিন্তু আলাদা করে লিখতে হবে।
প্রশ্নে যেটা বলবে ওটার উত্তরটা জাস্ট ১ লাইনে লিখবা এটাই জ্ঞান।
আর অনুধাবনে এসে তুমি যে
জ্ঞানটা লিখলা এটাকে জাস্ট ৩-৪ লাইনে ব্যাখ্যা করবা। হয়ে গেলো দুটো পার্ট।ঠিকমতো লিখতে পারলে পেয়ে যাবে পুরো ২।

#গ :এটা হচ্ছে প্রয়োগমূলক।মার্কস হলো ৩।লিখতেও হবে ৩ টা পার্টে।
এবার আসি কিভাবে লিখবে এই ৩ টা পার্ট।
প্রথম পার্টটা হবে জ্ঞান। অর্থাৎ গ এ যা বলবে ওটার উত্তরটা জাস্ট একবাক্যে লিখে দিবে।মনে করো প্রশ্নে থাকলো যে উদ্দীপকের রহিমের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের গল্পটির কার সাথে/কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য আছে।এখানে জ্ঞানটা হবে উদ্দীপকের রহিমের সাথে গল্পের করিমের মিল রয়েছে। এটাই হলো জ্ঞান।
আচ্ছা এবার আসি গ এর অনুধাবন পার্টে এখানে এসে এমন কিছু কথা লিখবা যা তোমার গল্পেও নেই বা উদ্দীপকেও নেই বাট দুটোই রিলেটেড। এটা জাস্ট ২-৩ লাইনে লিখে ফেলবা।হয়ে গেল অনুধাবন।
লাস্টে হলো গ এর প্রয়োগ পার্ট। এ পার্টে এসে তুমি দেখাবা যে উদ্দীপকের করিমের সাথে তোমার গল্পের রহিমের কিভাবে মিল আছে।আগে লিখবা উদ্দীপকের কথা এরপর লিখবা গল্পের কথা।
ব্যাস্ হয়ে গেল গ।প্রতিটি পার্ট তুমি সুন্দরভাবে লিখতে পারলে পেয়ে যাবে পুরো ৩।

সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম

#ঘ :এটা হলো উচ্চতর দক্ষতামূলক।যাতে মার্কস হলো ৪।পার্টও হবে ৪ টা।
প্রথম পার্টটা হলো জ্ঞানের।মানে প্রশ্নে যা থাকবে তা তুমি মেনে নিলেই হয়ে যাবে।মনে করো থাকলো যথার্থ কিনা/একমত কিনা।তুমি জাস্ট মেনে নিবে বা না মনে হলে মেনে নিবেনা।উত্তরটা হবে উক্তিটি লিখে লিখবা যথার্থ /যথার্থ নয়।ব্যাস হয়ে গেলো জ্ঞান।
এবার আসি ঘ এর অনুধাবন।এখানে তুমি জাস্ট এমন কিছু কথা লিখবা যা উদ্দীপক/গল্পে/প্রশ্নে থাকবে না বাট এই রিলেটেড হবে।হয়ে গেলো অনুধাবন।সাবধান গ এর অনুধাবনের কথাগুলো যেন রিপিট না হয়।
এবার ঘ এর প্রয়োগ পার্ট। এ পার্টে এসে তুমি দেখাবা যে উদ্দীপকের সাথে তোমার গল্পটা কিভাবে মিল বা যথার্থ বা তুমি কেন একমত।আগে লিখবা উদ্দীপকের কথা এরপর লিখবা গল্পের কথা।
আমি এখানে যথার্থ/একমতের কথা বললাম এর মানে কিন্তু এই না যে সব প্রশ্নেই এটা থাকবে।যেখানে যা থাকবে ওখানে ওভাবেই লিখবা।শেষ হলো প্রয়োগ পার্ট।
সবশেষ পার্টটা হলো উচ্চতর দক্ষতার।
তোমরা হয়তো ভাবছো এটা অনেক বড় হবে তাইনা!!
বাট নট
এটা হবে আরো সবার চেয়ে ছোট।মানে তুমি ৩ টা পার্টে কি লিখলা তার সমাপ্তি টানবা এখানে।যেমন বলবা যে অতএব বলতে পারি যে এই উক্তিটি যথার্থ।ব্যাস্ শেষ হয়ে গেলো।
এভাবে তুমি যদি সবগুলো প্রশ্ন পার্ট বাই পার্ট লিখতে পারো টিচার তোমাকে মার্কস দিতে বাধ্য।
তবে তোমরা মনে রাখবে প্রত্যেকটা প্রশ্নেরই জ্ঞানটা ঠিক লিখবে কারন টিচার খাতা দেখার সময় তোমার সবগুলো উত্তর পড়ে দেখবে না।সে দেখবে যে স্টুডেন্ট জ্ঞানটা ঠিকমতো লিখতে পারলো কিনা।যদি দেখে যে সঠিক লিখছে তাহলে ওটার ওপর ডিপেন্ড করেই মার্কস দিয়ে দিবে।
অনেকে বলতে পারো ভাই,এতো কিছু কি মেইনটেইন করে লিখা যায় নাকি!!বা অনেকে বলতে পারো প্রথমটা এরকম লিখলে লাস্টে আর নিয়ম মেনে লিখতে পারিনা।

সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম|সৃজনশীল প্রশ্নে কিভাবে ১০ এ ১০ পাওয়া সম্ভব 

আমি তোমাদেরকে বলবো,শোনো ভালো মার্কস পেতে হলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। নিয়ম মেনে লিখতে হবে। তাহলেই শুধু ভাল মার্কস পাবে তুমি।আর এখানেই ভাল এবং খারাপ স্টুডেন্টের পার্থ্ক্য।
সবাই ই তো গধবাঁধা লিখে যায়। তুমি একটু আলাদাভাবে লিখেই দেখোনা!!!
টিচার তোমাকে আলাদাভাবে জাজ করতে বাধ্য থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তোমরা আজকে এই পোস্টটা শেয়ার করে রেখে দিবে।এবং প্রতিদিন রাতে পড়ার শেষে একটা করে এই নিয়মে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখবে।

tag:সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম,সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার কৌশল,  সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার পদ্বতি,সৃজনশীল প্রশ্নে কিভাবে ১০ এ ১০ পাওয়া সম্ভব, 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button