কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা কথা জানালেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, তবে চিকিৎসকদের ‘না’ (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের সাথে ৪ ঘণ্টা আলোচনা শেষে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। একইসঙ্গে তাৎক্ষণিভাবে সেবা চালু হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন। তবে এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনরত কিছু চিকিৎসক ঘোষণা দিয়ে জানান, তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি। তাদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলে গেলে পুনরায় কথা বলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
এর আগে গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) হাসপাতালটির আইসিইউতে ঢুকে দুজন ডাক্তারকে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় আইসিইউতে থাকা একজন রোগীকেও কুপিয়ে জখম করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভীতি ছড়িয়ে পরে পুরো হাসপাতালে। পরবর্তীতে ৪ দফা দাবি দিয়ে আজ রবিবার কমপ্লিট শাট ডাউন কর্মসূচি দিয়ে কর্মবিরতিতে যায় চিকিৎসকরা। এদিকে, আজ দুপুরের পর চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় আলোচনা করতে হাসপাতালে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও সেবা বিষয়ক উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পাশাপাশি আলোচনায় ছিলেন সেনা কর্মকর্তাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাত। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার আলোচনা শেষ করে বাইরে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। তাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। তবে তার জন্য একটু সময় প্রয়োজন। তবে ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। এখন থেকেই জরুরি বিভাগসহ সকল ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।
একই সময়ে করিডোর থেকে কিছু সংখ্যক চিকিৎসক এসে উপদেষ্টার কথায় বাধা দিয়ে বলেন, আমরা কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করিনি, কমপ্লিট শাট ডাউন চলবে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্থান ত্যাগ করলে পরবর্তীতে চিকিৎসকদের একাংশ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের নিউরো সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমন রানা, আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল আহাদসহ আরও অনেকে।
এসময় আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করিনি। আমাদের দাবি সারা দেশে সকল হাসপাতালে ডাক্তারদেরকে ১ঃ১ নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রতিটি ডাক্তারের জন্য একজন করে নিরাপত্তাকর্মী দিতে হবে, হোক সেটা পুলিশ, বিজিবি বা র্যাব। যদি এখন দেওয়া হয় আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করবো, নইলে আমাদের আন্দোলন চলবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি এই সাত দিনের মধ্যে হামলায় জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবেই আমাদের আন্দোলন আমরা প্রত্যাহার করবো। তবে একজন ডাক্তারের জন্য একজন নিরাপত্তাকর্মী না দিলে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবো না। এসময় তারা জানান, ঢামেকের আইসিইউ ও এনআইসিইউ সেবা এখনও চলমান রয়েছে।