৭৫% উপস্থিতি, সমবার্তন আয়োজনসহ ৯ দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে উপাচার্য বরাবর ৯ দফা দাবি পেশ করে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে সেশনজট নিরসন সহ ৯দফা দাবিতে মূল ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেয় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, টঙ্গী সরকারি কলেজ, আজিমউদ্দীন কলেজ সহ আরও আশেপাশে বিভিন্ন অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মানবন্ধনে অংশ নেওয়া ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারুক বলেন, সেশনজটের কারণে আমরা ভর্তি হয়ে ২য় বর্ষে উঠতে উঠতে দুই বছর সময় চলে যায়। আবার দেখা যায় অনেক বিভাগে শিক্ষক সংকট, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। আমরা চাই এসব সংকট কাটিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাসময়ে অনার্স শেষ করতে।
উপস্থিত আরেক শিক্ষার্থী ইরিণ জামান সাথী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার সমস্যা যেন এক নিয়মিত ঘটনা। রেজাল্ট প্রকাশের পর, ভর্তির আবেদন কিংবা ফরম পূরণের সময় যেন এক ভোগান্তির নাম সার্ভার ডাউন। আমরা চাই সময়ের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার আপগ্রেড করা হোক।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বরাবর লিখিত দাবিসমূহ পেশ করেন।
দাবিগুলোর মধ্য সেশনজট নিরসন, ইনকোর্স পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা, উত্তপত্র মূল্যায়নে গুরুত্বারোপ, শিক্ষার্থীদের ৭৫% উপস্থিতি নিশ্চিত করা, বিভিন্ন কলেজে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ, ডকুমেন্টেশন প্রাপ্তি ও সংশোধন সহজিকরণ, সার্ভারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন হটলাইন চালু করা, সমাবর্তন আয়োজন করা উল্লেখযোগ্য।
উত্থাপিত দাবিসমূহ পর্যালোচনা করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ যৌক্তিক বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি ইনকোর্স পরীক্ষা পদ্ধতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান পদ্ধতির অনুকরণের বিষয়ে কথা বলেন। সেশনজট সম্পর্কে তিনি বলেন, অনার্স কোর্স সঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় কি না আমরা চেষ্টা করব। সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়েও কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্যের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চাই সঠিক সমাধান। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আমরা আরও জোড়ালোভাবে আন্দোলনে নামব।