বৈষম্যের শিকার ১৭তম নিবন্ধনধারী, এনটিআরসিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা না নিয়ে ভাইভা বোর্ড থেকে বের করে দেওয়া, এমনকি দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা নিয়েও ফল প্রকাশ না করার অভিযোগ তুলেছেন কক্সবাজারের দিলু হোসেন। বৈষম্যের শিকার দাবি করে এ ভুক্তভোগী বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ফল প্রকাশের দাবিতে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন দিলু হোসেন।
স্মারকলিপিতে তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর সকাল ১১টায় ৪নং গ্রুপ থেকে ৪ নং ভাইভা বোর্ডে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ইংরেজি বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। ভাইভা বোর্ডে কাগজ দেখে আমাকে বলা হয়, ‘‘তোমার ডিগ্রি কোর্সের সার্টিফিকেট আমরা শনাক্ত করতে পারছি না। আমরা পরে এটা নিয়ে কথা বলবো’’। তখন আমি বোঝাবার চেষ্টা করলে বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘‘আমরা তোমার ভাইভা নিতে পারছিনা, তোমার কাগজ নিয়ে আমরা কথা বলে দেখবো, নিশ্চয়তা দিতে পারবো না’’। আমার কাগজ ঠিক থাকায়, আমি এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর সমস্ত কাগজপত্রসহ আবেদন করি।
আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর আমার মোবাইলে এসএমএস আসে ২১ ডিসেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য। নির্দেশনা অনুযায়ী আমি আবার মৌখিক পরীক্ষায় ৪নং গ্রুপ থেকে ৩নং ভাইভা বোর্ডে অংশগ্রহণ করি। বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা আমার কাগজপত্র ভালো করে যাচাই-বাছাই করে আমার পরীক্ষা নেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো- দুইবার পরীক্ষা নিয়েও আমার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
দিলু হোসেন বলেন, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম মাসুদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, ‘‘তুমি দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েছ কেন? এখানে দুইবার পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই’’। তখন আমি বলি, ‘‘স্যার, আমাকে পরীক্ষার জন্য এসএসএস দিয়ে ডাকা হয়েছিল’’। তখন তিনি আমার কথাগুলো আর আমলে নেননি। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী আমার দ্বিতীয়বার নেওয়া ভাইভার ফলাফল রেজাল্টশীটে তোলা হয়নি। এরফলে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাইনি।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমারা সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। দুইবার ভাইভা নেওয়ার নিয়ম না থাকলে আমার ভাইবা কেন নেওয়া হলো? আমাকে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না দিলে এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনসহ মামলা করতে বাধ্য হব।