আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে না | নিজের আকিকার গোশত নিজে খেতে পারবে | আকিকার গোশত বন্টন মাসিক আল কাউসার
আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে না | নিজের আকিকার গোশত নিজে খেতে পারবে | আকিকার গোশত বন্টন মাসিক আল কাউসার
আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে না
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। প্রিয় পাঠক আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। বন্ধুরা বর্তমান সময়ে আমরা যে কোন তথ্যের জন্য গুগলে সার্চ করে থাকি। তাই ভিবিন্ন ধরনের পিক ডাউনলোড করতে আমাদের গুগলের সাহায্য নিতে হয়।
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কোরবানির আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে না – নিজের আকিকার গোশত নিজে খেতে পারবে – আকিকার গোশত বন্টন মাসিক আল কাউসার সম্পর্কে। আপনি এই সমস্ত ছবি হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের সংগ্রহে আছে আকিকা সম্পর্কে কিছু বানী। আমি আশা করি এই ছবিগুলো আপনার প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করতে কাজে লাগবে। তাই দেরি না করে ডাউনলোড করুন আপনার পছন্দের ছবি।
নিজের আকিকার গোশত নিজে খেতে পারবে
আকীকার মূল সময় সন্তানের জন্মের সপ্তম দিন। হাদীসে সপ্তম দিনেই আকীকা করতে বলা হয়। এরপর আকীকা দিলে অনেক আলিমের মতে আকীকা হবে না; যদিও অনেকের মতে হয়ে যাবে। আকীকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হওয়ার পাশাপাশি সন্তানের শাফাআত পাওয়া বা তার স্বভাবজাত প্রকৃতির উপর সুস্থতার সঙ্গে বেড়ে ওঠারও সম্পর্ক রয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে-
2840 –أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: كل غلام رهينة بعقيقته تذبح عنه يوم سابعه ويحلق ويسمى. سنن أبي داود للسجستاني (3/ 66)
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আকীকার উপর বন্ধককৃত। সুতরাং তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে একটি পশু জবাই করতে হবে, মাথা মুণ্ডাতে হবে এবং নাম রাখতে হবে।” (সুনানে আবু দাউদ: ২৮৪০)
মুহাদ্দিসীনে কিরাম সন্তানের আকীকার উপর বন্ধককৃত হওয়ার বিভিন্ন ব্যাখ্যা করেন- যেমন আকীকা না দিলে পিতা-মাতা উক্ত সন্তানের শাফাআত পাবে না, আকীকা না দিলে সন্তান যেভাবে সুস্থতার সঙ্গে বেড়ে ওঠার কথা, তা হবে না ইত্যাদি।
আকীকার গোশত, যার আকীকা সে নিজে, তার পিতা-মাতা এবং আত্মীয় স্বজন সকলেই খেতে পারবে। কেউ কেউ মনে করেন, পিতা-মাতা সন্তানের আকীকার গোশত খেতে পারে না। এ ধারণা ঠিক নয়।
আকিকার গোশত বন্টন মাসিক আল কাউসার
আকিকা করার পর এর গোশত স্বাভাবিকভাবে নিজেরাও খেতে পারেন এবং আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, ফকির-মিসকিনদের মধ্যেও বণ্টন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম রাসুলের (সা.) হাদিসের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়নি। যেহেতু এটি সবাইকে নিয়ে উৎসবের মতো একটি বিষয়, আনন্দের বিষয়, সে ক্ষেত্রে একান্ত যেসব আত্মীয়স্বজন আছে, তাদের সঙ্গে গোশত ভাগাভাগি করাই হচ্ছে উত্তম। এ ক্ষেত্রে আপনি আকিকার গোশত ভাগ করে লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে পারেন।
আরেকটি কাজও করা যেতে পারে। সেটি হলো আকিকার গোশত রান্না করে সবাইকে খাওয়ানোর আয়োজন করতে পারেন। বর্তমানে এই নিয়মটিই সমাজে দেখা যায়। এ দুটি পদ্ধতিই বৈধ। খাবারের আয়োজনও করা যাবে, আবার গোশত বণ্টনও করা যাবে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই।
Tag:-আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে না | নিজের আকিকার গোশত নিজে খেতে পারবে | আকিকার গোশত বন্টন মাসিক আল কাউসার