Islamer Bani
মেরাজ এর ঘটনা ও সেখান থেকে কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য
শবে মেরাজ এর ঘটনা ও সেখান থেকে কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য
আসছালামুআলাইকুম, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম, নবীজির জীবনের সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে বরকতময়, এবং অত্যন্ত অলৌকিক একটি ঘটনা হচ্ছে মেরাজের ঘটনা। যে রাতে আল্লাহ সুবহানাতালা নবীজীকে পৃথিবী থেকে সাত আসমানের উপরে নিয়ে, আল্লাহ তাআলার আরশের কাছে এবং আল্লাহ তালার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। আল্লাহতালার নিদর্শনগুলো সুন্দর করে দেখানোর জন্য।
আজকে আমরা এই মেরাজের ঘটনা থেকে কি কি সাইন্টিফিক বিষয়ে জানতে পারি এবং এই ঘটনা থেকে আমাদের কি কি শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করব।
তার আগে বলে নিচ্ছি মেরাজের ঘটনা হচ্ছে এমন বরকতময় একটি ঘটনা যে ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন সৃষ্টির কপালে জুটে নি। একমাত্র নবীজি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ছাড়া। এমনকি সিদরাতুল মুনতাহা সেখানে গিয়ে স্বয়ং জিবরাঈল (আঃ) নবীজি কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আপনাকে এখন থেকে বাকিটা পথ একাই যেতে হবে। এর কারন হচ্ছে আমার এই পথ দিয়া যাওয়ার অনুমতি নেই। আমি যদি আর একটু সামনে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হই, তাহলে আমি জিবরাইল আমার ডানা সহ পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। চিন্তা করে দেখুন সেই রাস্তায় ফেরেশতাদের সর্দার যারা কিনা কখন আল্লাহতালার অবাধ্য হয়নি। সেই ফেরেশতাদের সর্দার জিবরাঈল (আঃ) তার যাওয়ার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এর যাওয়ার অনুমতি ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাকে কবুল করেছিল। আল্লাহ তায়া’লা তাকে সেই সৌভাগ্য দান করেছিল। তাই নিজেকে ধন্য মনে করছি, সৌভাগ্যবান মনে করছি, এমন নবীর উম্মত হতে পেরে।
মেরাজের ঘটনা শুরু হয়েছিল নবীজির বক্ষবিদারণ এর মাধ্যমে। অর্থাৎ বক্ষবিদারণ করা তাও আবার নবীজির। তো আজকে চলুন এই বক্ষ বিদারণের ঘটনা থেকে কি কি সাইন্টিফিক বিষয় রয়েছে এবং এখান থেকে শিক্ষণীয় কি বিষয় রয়েছে সেটি সম্পর্কে আমরা আগে ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি।
মেরাজে যাওয়ার আগে হযরত জিবরাঈল (আঃ) নবীজির বক্ষবিদারণ করলেন এবং বক্ষবিদারণ করে যে কাজটি করেছিলেন তিনি সেটি হলো নবীজির হৃদপিণ্ড বাইরে বের করে আনলেন। এবং সেই হৃদপিণ্ড জমজমের পানি দ্বারা সুন্দর করে ধৌত করলেন। তারপর ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র সেখানে টাচ করলেন ছোঁয়া দিলেন। তারপর সবকিছু আগের মত যথাস্থানে রেখে আবার বুকটা ক্লোজ করে দিলেন। অর্থাৎ বক্ষবিদারণ করেছিলেন সেটা ঠিক করে দিলেন। চিন্তা করে দেখুন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এখানে কেন এই ঘটনাটি ঘটালেন। আল্লাহ চাইলে তো এরকম ঘটনা না ঘটিয়ে অলৌকিক ভাবে অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কেন এখানে বক্ষবিদারণ করালেন এটির উত্তর আপনারা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। যদি একটু চিন্তা করেন।
আজকে যদি এই ঘটনাটি আল্লাহ তায়ালা না ঘটাতেন মেরাজের রাতে। তাহলে অনেক অমুসলিম অনেক নাস্তিক তারা প্রশ্ন করে বসত পৃথিবী থেকে একটু উপরে গেলে আমরা অক্সিজেন পাই না। তাহলে নবীজি কিভাবে সাত আসমানে চলেগেলেন। অক্সিজেন সে কি করে পেল। আসলে এই ঘটনাকে তার একটি উসিলা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এবং মানব জাতি কি বুঝিয়েছেন যে এই ঘটনার মাধ্যমে অর্থাৎ বক্ষবিদারণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নবীজির মধ্যে এমন পরিবর্তন ঘটিয়ে ছিল, যার কারণে নবীজি এমন সব নিদর্শন দেখবে, এমন সব ভয়াবহ দৃশ্য দেখবেন, এমন সব সুন্দর দৃশ্য দেখবেন, যা দেখে হয়তো আমরা সাধারন মানুষ তার সাথে সাথে পাগল হয়ে যাবো।কিন্তু সেই দৃশ্যগুলো দেখার জন্য সেই পরিবেশে নবীজিকে উপযুক্ত করার জন্য বক্ষবিদারন ছিলো মূল উদ্দেশ্য। আল্লাহ তায়ালা চাইলে এটি অলৌকিক ভাবে করতে পারতেন কিন্তু তা না করে আল্লাহ তায়ালা সাভাবিক ভাবে জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে করিয়েছেন। এখানে জিবরাইল (আঃ) একজন সার্জনের ভূমিকা পালন করেছেন।
বর্তমানে আমরা অনেক ধরনের সার্জারী করি লেজার সার্জারী, হার্ড সার্জারী, আরো ভিবিন্ন ধরনের সার্জারী করে থাকি।কিন্তু চিন্তা করে দেখুন আজ থেকে ১৪শ বছর আগে নবীজির উপরে এই সার্জারী করা হয়ে গিয়েছে।নবীজির বক্ষবিদারন সার্জারীর করার মাধ্যমে,সার্জারী যে করা যায় মানুষের বুক কেঠে সেখান থেকে যে হ্রদপিন্ড ঠিক করা যায় অনেক ধরনের কাজ যে আমরা এখন করছি। সে গুলো যে করা যেতে পারে এবং এই বিষয়টি এখান থেকে হচ্ছে একটি শিক্ষা।এই সাইন্টিফিক শিক্ষাটি মেডিক্যাল শিক্ষাটি আমরা এখান থেকে নিতে পারি।
আরেকটি যে বিষয় হচ্ছে আমাদের যে মেইন শিক্ষা এখান থেকে নিতে হবে সেটা হলো নবীজিকে ইমানে পরিপূর্ণ একটি সর্ণ পাথর দ্বারা তার হ্রদপিন্ডকে টাচ করা হলো।
আরেকটি যে বিষয় হচ্ছে আমাদের যে মেইন শিক্ষা এখান থেকে নিতে হবে সেটা হলো নবীজিকে ইমানে পরিপূর্ণ একটি সর্ণ পাথর দ্বারা তার হ্রদপিন্ডকে টাচ করা হলো।
দেখুন এর দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে, আমি আপনি নবীর উম্মত কিছুদিন পর মারা যাবো এবং নবীজি সেই পরিপূর্ণ পার্থের দ্বারা যখন তার হ্রদপিন্ডকে চুয়া লাগানো হয়েছে তখনি নবীজি আসলে উপযুক্ত হয়েছিলেন আরশে যাওয়ার জন্য।আল্লাহর সাথে দেখা করার জন্য।এর মাধ্যমে আমাদের একটি মেসেজ হচ্ছে এই যে আমি আপনি মারা যাবো যেন এর আগে আমাদের ইমানকে ঠিক করে নিয়ে যাই।আল্লাহ তায়ালার কাজে যাচ্ছে যেনো এই রকম মজবুত করে নিয়ে যেতে পারি।এটা হচ্ছে আমাদের উম্মতের জন্য একটি বড় শিক্ষা।
এর পর আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো সেটা হচ্চে মেরাজের গতিবিদ্যা।
নবীজি মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন তিনি যখন মেরাজ শেষ করে ফিরে আসলেন তখন দেখতে পেলেন তিনি যে ঘরের থেকে গিয়েছিলেন সেই ঘরের দরজা এখন ও নরছে।যে চাদর থেকে উঠে গিয়েছিলেন সে চাদর এখন ও আগেরমত রয়েছে। ওযুর পানি এখন ও গড়িয়ে পরছে।তাহলে কি করে এত দ্রুত এত বড় মেরাজ, সাত আসমানে যাওয়া এবং সেখান থেকে ফিরে আসা, আল্লাহ তায়ালার এত নিদর্শন দেখা কি করে এত অল্প সময়ে সংঘটিত হলো।সেটা কিন্তু অনেকের মনে একটি প্রশ্ন খুবি সাভাবিক একটি প্রশ্ন।
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা আলবার্ট আইনস্টাইনের একটি সুত্রের মাধ্যমে দিবো।যদি ও বলে নিচ্ছি এই সুত্র দ্বারা আসলে এই মেরাজ ঘটনা যাষ্টিপাই করার কিছু নেই।আসলে এর পরিপূর্ণ জ্ঞান, পরিপূর্ণ হেকমত সময়ের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সেটা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার কাছেই।কিন্তু আমরা শুধুমাত্র চেষ্টা করতে পারি এই সুত্রের মাধ্যমে এই ঘটনার একটি ব্যাক্ষা দিয়ে। ব্যাক্ষাটি হচ্ছে যখন কোন মানুষ আলোর বেগে অর্থাৎ আলোর বেগ হচ্ছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল প্রতি সেকেন্টে এই বেগের ৯০% বেগ অর্জন করবে তখন তার যে ভ্রমন কাল হবে সেটা হবে পৃথিবীর এক্সুয়াল সময়ের অর্ধেক।অর্থাৎ কোন একটা মানুষ আপনি পৃথিবী থেকে আলোর বেগের ৯০% বেগ অর্জন করে মঙ্গল গ্রহে ছুটে চলেছেন পৃথিবী থেকে হয়তো আপনার সেখানে দেখতে সময় লাগবে যে আপনি ১০ বছরে গিয়েছেন বা ১০ বছর সময় মনে হবে।কিন্তু আসলে আপনার এক্সুয়াল টাইম লাগবে ৫ বছর।অর্থাৎ অর্ধেক হয়ে যাবে।হয়তো বিষয়টা একটু জটিল হয়ে গেলো সহজ করে বুঝাই, যখন কোন মানুষ আলোর বেগে ছুটে চলে তখন তার টাইম লাগে ০ অর্থাৎ ভ্রমনকালে কোন সময় লাগে না। সে শুন্য সময়ের ভিতরে যে কোন জায়গায় যেতে পারবে।
এখন আমরা আসি মেরাজের ঘটনায়। মুহাম্মদ (সাঃ) বুরাকের মাধ্যমে চলে গিয়েছিলেন বাইতুল্লাহ থেকে মসজিদ আল আকসা পর্যন্ত জেরুজালেম পর্যন্ত।এই বুরাক কি ছিলো, বুরাক হচ্ছে আরবি শব্দ বারাকুন থেকে এসেছে।যার অর্থ তরিৎ বা বিদূৎ অর্থাৎ বুরাক দ্বারা বুঝানো হয় বিদূৎতের চাইতে গতি সম্পূর্ণ এমন কোন যানবাহন। তাহলে বুঝতেই পারছেন এখানে যদি সার আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রয়োগ করেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাহলে ও এখানে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর যে সময়টা লেগেছিলো সেটা হচ্ছে জিরো।কারন তিনি তরিৎ এর অপেক্ষায় দ্রুত গতির যানবাহনে গিয়েছেন।তাহলে এখানে টাইম হচ্ছে জিরো।এবং এর পর মুহাম্মদ (সাঃ) জিবরাইল (আঃ) মাধ্যমে চলে গিয়েছিলেন সাত আসমানে। চিন্তা করে দেখুন জিবরাইল আঃ তিনি হচ্ছে ফেরেস্তা এবং নুরের তৈরি। অর্থাৎ আলোর তৈরি।এবং এখানে যদি আপনারা আলবার্ট আইনস্টাইনের সুত্র প্রয়োগ করেন এখানে টাইম ও জিরো। সব মিলিয়ে মুহাম্মদ সাঃ এর আসতে যেতে কোন সময় লাগে নি।
টাইম হচ্ছে জিরো। এখানে বিজ্ঞানের সাথে আল্লাহ তায়ালার জ্ঞানের কোন তুলনা হতে পারে না।আলাহ তায়ালায় অসিম জ্ঞানি।তার পর সার আলবার্ট আইনস্টাইনের সুত্রের মাধ্যমে আমরা গতি নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
টাইম হচ্ছে জিরো। এখানে বিজ্ঞানের সাথে আল্লাহ তায়ালার জ্ঞানের কোন তুলনা হতে পারে না।আলাহ তায়ালায় অসিম জ্ঞানি।তার পর সার আলবার্ট আইনস্টাইনের সুত্রের মাধ্যমে আমরা গতি নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
বন্ধুরা এখানে আমরা মেরাজের গতি নিয়ে একটি সুন্দর সাইন্টিফিক সলুশন পেলাম আর সেটা ও সার আলবার্ট আইনস্টাইনের সুত্র থেকে।আসা করি এই বিষয় নিয়ে আর কারো কনফিউশন থাকবে না।
কিন্তু সব চেয়ে বড় যে সমস্যাটি সেই সময়ে ঘটেছিলো সেটা হলো যখন নবীজি মেরাজের ঘটনা সমস্ত কাছে বর্ননা দিতে গেলেন। তখন আরা কাফের ছিলো নাস্তিক ছিলো তারা এই ঘটনা তো বিশ্বাস করলোই না বরং নবীজিকে পাগল বলতে শুরু করলো। নবীজিকে নিয়ে তারা টাট্টা বিদ্রুপ হাসি তামাশা শুরু করলো।আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাপিষ্ঠ আবু জাহেল সমস্ত মানুষকে ডেকে একত্রিত করলো এবং বললো দেখ মুহাম্মদ কি বলছে সে নাকি এই সব করেছে গত রাতে।
এটা কি করে সম্ভব তোমরাই বলো।যেখানে আমাদের মক্কা থেকে জেরুজালেম পর্যন্ত যেতে লাগে দুই মাস সময়।সেখানে মুহাম্মদ এক রাতের মধ্যে গেলো আবার ফিরে ও এলো কি করে এটা সম্ভব।এই বলে সে সাধারন মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুললো।এবং আবু জাহেল আরো বললো আচ্ছা মুহাম্মদ তুমি যদি সত্যি সত্যি সেখানে যাও তাহলে বলতো সেখানে মসজিদ আল আকসার মধ্যে কয়টা দরজা রয়েছে কয়টা জানালা রয়েছে।এগুলো তুমি আমাদের বলো।মুহাম্মদ সাঃ খুবি বিপদে পরে গেলেন।তিনি চিন্তা করতে শুরু করলেন এবং ভাবতে শুরু করলেন।যে কি করে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া যায়।কেননা কোন মানুষ যখন কোথায় যায় সেখানে গিয়ে কি দরজা জানালা গননা করে।এটা তো আসলে একটা পাগলের মত প্রশ্ন।
এটা কি করে সম্ভব তোমরাই বলো।যেখানে আমাদের মক্কা থেকে জেরুজালেম পর্যন্ত যেতে লাগে দুই মাস সময়।সেখানে মুহাম্মদ এক রাতের মধ্যে গেলো আবার ফিরে ও এলো কি করে এটা সম্ভব।এই বলে সে সাধারন মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুললো।এবং আবু জাহেল আরো বললো আচ্ছা মুহাম্মদ তুমি যদি সত্যি সত্যি সেখানে যাও তাহলে বলতো সেখানে মসজিদ আল আকসার মধ্যে কয়টা দরজা রয়েছে কয়টা জানালা রয়েছে।এগুলো তুমি আমাদের বলো।মুহাম্মদ সাঃ খুবি বিপদে পরে গেলেন।তিনি চিন্তা করতে শুরু করলেন এবং ভাবতে শুরু করলেন।যে কি করে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া যায়।কেননা কোন মানুষ যখন কোথায় যায় সেখানে গিয়ে কি দরজা জানালা গননা করে।এটা তো আসলে একটা পাগলের মত প্রশ্ন।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এত দয়ালু এত করুনাময় এত হেকমত ওয়ালা তিনি সাথে সাথে নবিজীর এই চিন্তা দূর করে দিলেন।নবিজী মুহাম্মদ সাঃ এর সামনে একটি দৃশ্য তুলে ধরলেন মসজিদ আল আকসার যেটি জেরুজালেমে অবস্তিত।এবং সেই দৃশ্য নবীজি খেয়াল করলেন তিনি ছাড়া আর কেউ এই দৃশ্য দেখতেচ্ছে না।সেদিকে কেউ তাকাচ্ছে না।
তখন নবীজি মুহাম্মাদ সাঃ প্রতিটা ইট প্রতিটা পাথর গুনে গুনে বললেন প্রতিটা দরজা, প্রতিটা জানালা গুনে গুনে বললেন।এবং সেখানে যারা বার বার গিয়েছিলেন তারা শুনে অবাক হয়ে গেলেন।কি করে সম্ভব নবীজি একবার গিয়ে সেই সমস্ত জানালার সংখ্যা সেই সমস্ত ইটের একদম বাস্তব অবিকল ভাবে সুন্দর করে বর্ননা করছেন।কিন্তু নবীজি সেগুলো দিকে দেখে দেখে করছেন।নবীজিকে আল্লাহ তায়ালা দেখাচ্ছেন।চিন্তা করে দেখেন কতটা বরকতময় এই ঘটনা ছিলো।আল্লাহ তায়ালা এই ঘটনাকে বিশ্বাস করানোর জন্য এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন যা আসলে আমরা কল্পনা করতে পারি না।আমাদের সাধারন ব্রেনে এটা ধরার ও ক্ষমতা নেই।এবং মুহাম্মদ সাঃ আরো বললেন সেখানে আমি কাফেলা দেখেছি সেই কাফেলাগুলো এক্ষনি মক্কা এসে পৌছাবে এবং সাথে সাথে সেই কাফেলা মক্কায় এসে পৌছালো।এবং নবীজি আরো বলেছিলেন সেই কাফেলার একটি উট হারিয়ে গিয়েছিলো এবং আমি বলে দিয়েছিলাম সেই উটটি কোথায়।এবং সেই কাফেলা বলেছিলো আসলে হে পরিচিত একটি সুর বলেছিলো তোমাদের উট অমুক জায়গায়।এত কিছু দেখার পর ও অনেক মানুষ ইমান আনে নি। আবার যারা বুদ্দিমান ছিলো তারা ইমান এনেছে।
আর আমরা হলাম সেই নবীর উম্মত।আমরা কতটা ভাগ্যবান আসলে আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
নবীজির জিবনে যে তিব্র দুঃখ্য ছিলো যন্ত্রণা ছিলো তায়েফের যে কস্ট তায়েফ বাসিরা যে কস্ট দিয়েছিলো।চাচার মৃত্যু তার উপর নিজের স্ত্রী খাদিজা রাঃ মৃত্যু।এত সব কস্টের পর আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন এক নিয়ামত দিয়েছিলো যা আসলে অককল্পনীয়। নবীজির সমস্ত দুঃখ্যকে সাথে সাথে ভুলিয়ে ফেলতে পারে।তাই আজ আমি এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আসা করি আপনাদের ভালো লাগবে।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।যদি কোন বিষয়ে কনফিউশন থাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এই সাইন্স কখনো আমাদের ইসলামের মাফকাঠি না। আমরা ইসলামকে এমনিতেই বিশ্বাস করি।কিন্তু কখনো কখনো আমাদের দরকার পরে সাইন্টিফিক ভাবে মানুষকে অনেক কিছু বুঝানোর জন্য।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
আর Blognet24.com এর সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফিজ।
নবীজির জিবনে যে তিব্র দুঃখ্য ছিলো যন্ত্রণা ছিলো তায়েফের যে কস্ট তায়েফ বাসিরা যে কস্ট দিয়েছিলো।চাচার মৃত্যু তার উপর নিজের স্ত্রী খাদিজা রাঃ মৃত্যু।এত সব কস্টের পর আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন এক নিয়ামত দিয়েছিলো যা আসলে অককল্পনীয়। নবীজির সমস্ত দুঃখ্যকে সাথে সাথে ভুলিয়ে ফেলতে পারে।তাই আজ আমি এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আসা করি আপনাদের ভালো লাগবে।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।যদি কোন বিষয়ে কনফিউশন থাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এই সাইন্স কখনো আমাদের ইসলামের মাফকাঠি না। আমরা ইসলামকে এমনিতেই বিশ্বাস করি।কিন্তু কখনো কখনো আমাদের দরকার পরে সাইন্টিফিক ভাবে মানুষকে অনেক কিছু বুঝানোর জন্য।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
আর Blognet24.com এর সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফিজ।