Success Life Tips

ব্রেকআপ এর যন্ত্রণা থেকে বের হবার উপায় | The way to get out of the pain of breakup

ব্রেকআপ এর যন্ত্রণা থেকে বের হবার উপায় 


আসছালামু আলাইকুম,বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?বন্ধুরা আজকে আপনাদের মধ্যে একটা দারুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি।যেটা আমাদের বর্তমান সময়ে সবার জন্য জানা জরুরি। সেটা হলো ব্রেক আপ এর যন্ত্রণা থেকে কি করে বেরিয়ে আসবেন। ব্রেকআপ এখন ৮০% Relationship এ হয়ে থাকে।তাই আজকেত পোস্টটি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আমি এটা কিছুতেই  মেনে নিতে পারছি না,এত কথা এয় প্রতিশ্রুতি সবি কি থাহলে মিথ্যা ছিলো।
ব্রেকআপ এর পর হয়তো এটাই আমাদের সবার মাথায় আসে। ফিজিকাল ব্রেন যে অংশটাকে Activate করে Emotional ব্রেন ও সেই একি ব্রেন Activate  করে।
অর্থাৎ আমাদের ব্রেনের কাছে  ফিজিকাল এবং মেন্টাল দু ধরনের ব্রেনই সমান।

ফিজিকাল Pain দূর করার জন্য তো বেন্ডেজ, ইঞ্জেকশন এই সমস্ত প্রচুর উপায় রয়েছে।
কিন্তু ইমোশনাল pain দুর করার ঐষদ কি।
বিশেষ করে সেই বিষয়টা যখন অনেক গভিরের হয়,যেমন কারো ব্রেকআপ বা মাতা পিতা প্রিয়জন মারা গেলে।সে ক্ষেত্রে কিভাবে সেই ব্যথা থেকে নিজেকে বের করে আনা সম্ভব।সেটাই আজ এই টপিকে আজ আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি।যদি আপনি এটার একটা solution চান তাহলে আজ আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ন পড়তে থাকন।আমি বিশ্বাস করি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি পড়েন তাহলে একটা না একটা সমাধান পেয়ে যাবেন।চলুন শুরু করা যাক।

ইমোশনাল যন্তনা থেকে বের হবায় উপায়

Smart Idia No 1.যা হয় ভালোর জন্যই হয়

যা হয় ভালোর জন্যই হয় এই কথাটা আপনাকে মন থেকে বিশ্বাস করতে হবে।বিশ্বাস বললে ভুল হবে আপনাকে মানতে হবে এটা সত্যি।কারন এটা কোন কল্পনা নয় এটা বাস্তব। আমি শিউর আপনার জিবনে এমন প্রচুর অভিক্ষতা থাকবে।যেটা যখন ঘটেছিল তখন আপনি খুব কস্ট পেয়েছিলেন বা ভেবেছিলেন আমার সাথে এত খারাপ কেন হলো।আজ যদি ফিরেয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন সেই জিনিষটা হয়েছিল বলে আজ আপনার জিবনে ভালো কিছু হয়েছে।এটা শুধু আমার আপনার জিবনে সত্যি না প্রতিটা মানুষের জিবনে সত্যি।
তাই আজ যে ব্রেকআপ জন্য আপনি কস্ট পাচ্ছেন গ্যারান্টি  সহকারে বলা চলে ভবিষ্যতে সেটার জন্য নিজেকে সব থেকে লাকি মনে করবেন।এটা কোন তিউরি না এটা ফ্যাক্ট যা হয় তা ভালর জন্যই হয়।হয়তো সেই মুহুর্তে আমরা তার ভালর দিকটা দেখতে পাই না।কিন্তু কিছু দিন পরই তা দিনের আলোর মত পরিস্কার হয়ে যায়।

Smart idia no 2.You are The Creater

আমরা সাধারণত যেটাকে আমি বলি সেটা হলো আমাদের মাইন্ড।আর আমাদের মাইন্ড আর কিছুই না অসংখ্য মেমোরির সমষ্টি। যে মেমোরি গুলো আমরা ৫ টা সেন্সের মাধ্যমে জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কালেক্ট করেছি। এই ৫ টা সেন্সের মধ্য থেকে সব চেয়ে strong আর Evel lasting memory Create হয় আমরা যা দেখি যা স্পর্শ করি এই দুটি সেন্সের মাধ্যমে।
এই কারনে ব্রেকআপের পর সেই সমস্ত মেমোরিগুলা এত কস্ট কর হয়ে উঠে।কারন তার সঙ্গে এমন প্রচুর মেমোরি যুক্ত থাকে সেটা দেখা এবং স্পর্শ করার অনুভূতির মাধ্যমে তৈরি হয়েছিলো।
এবার একটা জিনিষ আমাদের ভালো করে বুঝতে হবে, যে কোন মানুষ সে gf হোক বা bf হোক  বা মা বাবাই হোক প্রত্যেকে আমাদের মাইন্ড এর ভিতরে আর কিছুই না যাষ্ট কিছু মেমোরি। অর্থাৎ কারো সঙ্গে যদি মেমোরির অস্তিস্ত আমাদের মাইন্ডে না থাকে তাহলে বাস্তবে সেই মানুষটার কোন অস্তিস্ত নেই।আমরা কখন বলি যে হে আমরা এই লোকটাকে চিনি  যখন আগে থেকে এই ব্যক্তির রিলেটেড কোন মেমোরি আমাদের ব্রেনে থাকে। এবার এই মেমোরি গুলি তৈরি করে কে আমরা নিজেরা। অর্থাৎ U are The Creater.এত দূর আপনাকে আগে পরিস্কার করে বুঝতে হবে।যে কোন Person আমাদের জন্য আর কিছুই না Just of bundle of memories.

এবার কথা হচ্ছে আমরা কি চাইলেই কোন মেমোরি পুরোপুরি ভাবে মুচে ফেলতে পারি, না হতো একদম পুরাপুরি হয়তো পারি না। তবে হে যে কোন মেমোরির তিব্যতাটা আমরা চাইলে কমাতে পারি।সেটা কিভাবে দেখুন আপনে আজকে একটা গনীতের ফর্মুলা মুখস্ত করলেন।এবার আপনার কি সেটা সারাজীবন মনে থাকবে।

কখন বা কি করলে আপনি সেটা ভূলে যাবেন

যখন আপনি অনেক দিন যাবত সেটা নিয়ে আর চর্চা করবেন না।অর্থাৎ বহুদিন অবদি দ্বিতীয় বার আর ফিরে দেখবেন না বা মুখস্ত করবে না বা সেটা নিয়ে আর ভাববেন না।তখন আপনি সেটা একটা সময় পর ভুলে যাবেন।অর্থাৎ মেমোরি যখন একেবারে Low হয়ে যাবে যেটা আপনি ভুলে যাবেন
কিন্তু ব্রেক আপ এর পর আমরা এর উল্টোটাই করি সারাদিন সেই মানুষটাকে নিয়ে ভাবতে থাকি।সে কি রকম এমন করলো কেন করলো যেটা আর কিছুই না মেমোরি গুলির পায়ার আরো বারাতে থাকে। যার ফলে ভুলতে পারাটা দিন দিন আর কস্ট হয়ে পরে।কিন্তু কি করবো ভাবতে না চাইলেও যে সেই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে।তাহলে এর সমাধান কি।এর সমাধান ৪ টি step এ আপনার সঙ্গে আমি শেয়ার করবো।

ভাবতে না চাইলেও সেই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরতে এর সমাধান

1st Step. accept

ব্রেক আপ এর পর পর ও আমরা মানতেই চাই না যে ব্রেক আপ সত্যি হয়েছে।মন যেনো বিশ্বাসই কর‍তে চায় না।যে কারনে ভিতর থেকে situation টা accept না করার কারনে আমরা সেটাকে আগের মত করার জন্য নানান জিনিষ ভাবতে থাকি।ইস যদি এ রকম না হতো ও যদি একটি বুঝতো মানে প্রথম কিছুদিন তো আমরা accept করতে চাই না যে এটা সত্যি এটাই বাস্তব।ভিতর থেকে বাত বার সেটা বদলানোর যেষ্টা করি।যেটা সব থেকে বড় ভূল।আপনাকে আগে accept করতে হবে যে হে এটা হয়েছে আর এটাই হলো আমার জিবনের বড় সত্যি।
দরকার হলে দরজা জানালা বন্ধ করে চিৎকার করে কান্না করুন।কান্নার অথ্যন্ত ভালো জিনিষ সেটা ছেলে মেয়ে দুজনের ক্ষেত্রেই। এমন না যে ছেলে বলে কান্নাটা লজ্জার বিষয়।এতে আপনি অনেকটা হাল্কা অনুভব করবেন।যা আপনাকে সত্যিটাকে accept করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

2nd Step.সব কিছু মুছে ফেলুন

মৃত্যু এবং ব্রেক আপ এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই কারন মৃত্যুর ক্ষেত্রে শুধু কোন Body Death হয়।আর ব্রেক আপ এর ক্ষেত্রে কোন Relationship এর।এবার রিলেশনশিপ এর ফিউনরিয়েল কিভাবে করতে হয়। প্রথমত whatsapp,fb.email.mobile sim যেখানে যেখানে লিংক আছে, যার যার মাধ্যমে আবার কন্টাক করা possible সেই সমস্ত কিছুতে আগে Block করতে হবে।অথবা সে গুলো পাল্টাতে হবে।২য় তার সঙ্গে জরিত যত মেমোরি invold রয়েছে।সব কিছু রিমুভ করতে হবে।কোন জায়গার মেমোরি হলে সেখানে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
তার দেওয়া সব কিছু পুরিয়ে ফেলতে হবে।এ রকম কিছু সাথে থাকলে তার কথা বার বার মনে পড়বে আর থাকে ভুলতে পারাটা কস্ট হয়ে যাবে।

3rd Step.Get Busy

আমাদের মাইন্ড এক সাথে দুটি জিনিষ ভাবতে পারে না।এই মূহুর্তে যদি আপনি ফুটবল নিয়ে ভাবেন একি মুহুর্তে আপনি ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে পারবেন না।যে কোন একটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে।তাই আপনাকে এমন কিছু নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলতে হবে যে বিষয়টা নিয়ে আপনার ভাবত্র বিষন ভালো লাগে।অর্থাৎ যেটায় আপনি Interest পান আর সেটা সম্ভব নিজেকে কোন কাজের মধ্যে invold করে।যেটা কোন বিষয় হতে পারে।

4rd Step.ভালবাসার উপর বিশ্বাস হারাবেন না।

আমাদের যখন ব্রেক আপ হয় তখন আমরা ভালবাসার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি।এটা এমন কোন এক দেশে একজন চুর ধরা পরেছে বলে এটা মেনে নেওয়া ঐ দেশে বাকি যত লোক আছে সবাই চুর।তার কোন মানে নেই।মেনে নিলাম সেই দেশের ৮০% লোক চুর কিন্তু ২০% লোক এমন থাকবে যারা সত্যি ভালো মানুষ।আর আপনি একবার একজন এর কাছে ডকেছেন সেখান থেকে আপনার অভিক্ষতা বেরেছে।যেটাকে কাজে লাগিয়ে এবার কাউক্র দেখে বুঝতে পারবনে যে এই নতুন মানুষটা কি একি চুর নাকি ভালো মানুষ হতে পারে।সেখানে আপনার অভিক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারবেন।যদি কোন সত্যি কারের কোন ভালবাসায় পরে জরিত হতো তাহলে ১০০% আপনি আগের ব্রেক আপ এর যন্তনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।তবে সেটা আসল ভালবাসা হতে হবে।সেটা আগে থেকে বুঝার দায়িত্ব আপনার। নইলে এক্ষেত্রে বিপরীত ও হতে পারে।

Smart idia 3.ভালবাসা যেখানে যেখানে attachment এর জায়গা নেই।

এবার এত কিছু শুনার পর আপনার মনে এটা হতে পারে না আমি অকে সত্যি ভালবাসতাম আমার পক্ষে নতুন কাউকে ভালবাসা সম্ভব না।কারন হয়তো তার ভালবাসা মিথ্যে ছিলো কিন্তু আমার ভালবাসা ১০০% খাটি এবং সত্যি ছিলো।ভালবাসা যদি ১০০% সত্যি হয় সেখানে attachment এর কোন জায়গা থাকে না।কারন এক্ষেত্রে acceptation থাকে zeroo.Example দিয়ে বলি আজকে আপনার কাছে আছে ১০ হাজার টাকা দামের একট ফোন। নতুন ফোন আপনি বিষন যত্ন করে ব্যবহার করেন।ফোনের কোন ক্ষতি আপনার কাছে যেনো দুঃস্বপ্ন। এবার যখন এই ফোনটা পুরানো হয়ে গেলো আপনি নতুন আরেকটা ফোন কিনলেন ৫০ হাজার দিয়ে সেদিন থেকে এই ১০ হাজার টাকার দামের দামের ফোনটার যত্ন কমতে শুরু করলো।এখন আবার ভালবাসা বদলে গিয়ে নতুন ফোনটায় চলে আসছে। এই যে এখানে আমরা ভালবাসা শব্দটা এখানে ব্যবহার করছি এটা ভূল কারন এটাকে ভালবাসা না Attachment বলে।যেখানে একতরফা সার্থ রয়েছে দাবি রয়েছে।কিন্তু ভালবাসা সার্থহীন যেখানে একতরফা দাবি থাকে না।ভালবাসা কোনদিন কস্ট দিতে পারে না।সেখানে চাওয়ার কিছুই নেই শুধু দেওয়ার।কস্ট দেয় attachment কারন তার acceptation,ডিমান্ড, সার্থপরতায় পরিপুর্ন।যদি ব্রেক আপ এর আপনি continue কস্ট পেয়ে যাচ্ছেন তার অর্থ এটা ধারায় আপনি যেটাক্র ভালবাসা বলে ভুল করছেন সেটা আসলে আপনার attachment ছিলো।এটাকে চাইলেই Easily Replace করা যায়।ঠিক ঐ ফোনের মত।
Don,t Cry Becouse is over,Smile becouse is happened.

তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত যদি এই টপিক থেকে আপনার একটু ও উপকার হয়ে তাহলে অবশ্যই একটা ভালো কমেন্ট করে যাবেন।
আর সবাই ভালো থাকুন,
সুস্থ থাকুন আর Blognet24 এর সাথেই থাকুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button