পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে অমানবিক কাণ্ড ঘটালেন গোলাম রাব্বানী (Latest Update)
জুমবাংলা ডেস্ক : পরকীয়া প্রেমের বাধা দেয়া ও যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধূর নাম ফজিলাতুন নেছা (২৫)। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যেপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ফজিলাতুন নেছা সদর উপজেলার কোমইগাড়ী এলাকার ফজলুর হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৮ আগস্ট) বাবা ফজলুর হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানীসহ তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ গোলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে বিয়ে হয় ফজিলাতুন নেছার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে গোলাম রাব্বানী। বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পারলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক পর্যায়ে গোলাম রব্বানী তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক বাবদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর থেকেই স্ত্রী ফজিলাতুন নেছাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে গোলাম রব্বানী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করলে স্ত্রীর অস্বীকৃতিতে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু গোলাম রাব্বানী। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা ফজিলাতুন নেছাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গিলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠায় চিকিৎসক।
ফজিলাতুন নেছার বাবা ফজলুর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌতুকের জন্য প্রায় আমার মেয়েকে মারপিট করতো গোলাম রব্বানী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এর আগে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত আমার মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
নওগাঁ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আ. ওয়াদুদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত স্বামী গোলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।