World wide News

প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েছিলাম, সবাই ভীষণ কষ্টে আছেন : বুবলী (Latest Update)


জুমবাংলা ডেস্ক : ভয়াবহ বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। সময় যত গড়াচ্ছে, বন্যার পানিও ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানি, ঔষুধ, খাবার খুব জরুরি।

এই সংকটকালে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের মানুষ। চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে গিয়েছেন নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে ত্রাণ ভর্তি পিকআপ নিয়ে বুবলী ছুটে যান নোয়াখালীর বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এ জেলার সেনবাগ, বাংলাবাজার, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও ছাতারপাইয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় নৌকাযোগে ত্রাণ বিতরণ করেন বুবলী।

এ বিষয়ে শবনম বুবলী বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকে নিজের সাধ্যমতো বন্যার্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এই কয়দিন ঢাকা থেকে সাপোর্ট দিলেও পরিকল্পনা ছিল বানভাসিদের পাশে সশরীরে দাঁড়ানোর। বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক ছিল, তাই একটু অপেক্ষায় ছিলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল নোয়াখালীর অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েছিলাম। যেখানে সবাই ভীষণ কষ্টে আছেন। চেষ্টা করেছি নিজের সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকার।’

ত্রাণ বিতরণের অভিজ্ঞতা জানিয়েছে বুবলী বলেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে আমি সবসময় চেষ্টা করি এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহার সামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’ বলেন বুবলী।

৪ দিন ধরে অনশনে প্রেমিকা, পলাতক প্রেমিক

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময়ে তোলা কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন শবনম বুবলী। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার কারণ ব্যাখ্যা করে বুবলী বলেন, ‘বন্যার্তদের কাছে ছুটে যাওয়ার কিছু ছবি ইচ্ছা করেই ফেসবুকে শেয়ার করেছি। যাতে আমাকে দেখে অন্যরা উৎসাহিত হন। অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন যে, শো অফের জন্য ছবি দিয়েছি। কিন্তু আসলে তা নয়। আমি চেষ্টা করেছি একটা ভালো কাজ সবার সঙ্গে শেয়ার করার, যা দেখে আরো অনেকে উৎসাহিত হন। এই মুহূর্তে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো সবচেয়ে বেশি জরুরি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button