World wide News

ডাম্বফোন কাঁপাচ্ছে সারা দুনিয়া, স্মার্টফোনের থেকে যেখানে এগিয়ে এই মোবাইল (Latest Update)


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি হু হু করে বিক্রি বেড়েছে ডাম্বফোনের। কেন স্মার্টফোনের ছেড়ে এই ডিভাইস ব্যবহার শুরু করছেন নতুন প্রজন্ম? কোথায় এগিয়ে ডাম্বফোন?

বিজ্ঞানীরা বলছেন অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মানুষ বোকা, অসামাজিক ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই কথা বিশ্বাস না হলে এই দাবির পিছনে আসল বিজ্ঞান জানা জরুরি। ক্রমাগত নোটিফিকেশন, আপডেটের মাধ্যমে স্মার্টফোন আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে স্মার্টফোন।

ফলে দিনের শেষে ক্লান্তি নেমে আসে। একই ডিভাইস থেকে একদিনে যেমন সারাদিন বিনোদন চলছে, অন্যদিকে খবরের উৎস, GPS নেভিগেশন, পেমেন্ট সহ দিনের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে সারাদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রোল করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি কেউই। এই কারণেই ক্রমাগত এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে যেতে ঘুরতে থাকেন। বিজ্ঞানীদের মতে এই কারণে মানুষের মনঃসংযোগ কমেছে অনেকটাই।

আর এই কারণেই এখন অনেকেই দামি স্মার্টফোন ছেড়ে পুরনো ডাব্বাফোনে ফিরে যাচ্ছেন। এই ফোনগুলিকেই ডাম্বফোন বলছে নতুন প্রজন্ম। কিন্তু আপনি জানেন কি একাধিক বিভাগে আধুনিক স্মার্টফোনের থেকে এগিয়ে এই ফোনগুলি? কোন কোন বিষয়ে এখনও পুরনো ফিচার ফোন স্মার্টফোনকে পিছনে ফেলছে? দেখে নিন।

স্মার্টফোন কিনতে অন্তত ৭০০০-১০০০০ টাকা খরচ হয়। যদিও এই দামে বেসিক স্মার্টফোন পাওয়া যায়। ভালো প্রসেসর ও ক্যামেরার স্মার্টফোন কিনতে অন্তত ২০০০০ টাকা খরচ করতে হবেই। কিন্তু ডাম্বফোন কেনার খরচ খুবই কম। ২০০০-৫০০০ টাকার মধ্যেই কেনা যাবে বিভিন্ন মডেল। তাই অযথা অতিরিক্ত খরচ না করে এখন স্মার্টফোনের বদলে ডাম্বফোনকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

স্মার্টফোন কিনলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বেশি দামের প্ল্যান রিচার্জ করতে হয়। যদিও ফিচার ফোনে রিচার্জের খরচ অনেকটাই কম। এখন বেশীরভাগ ফিচার ফোনে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলেও খুব বেশি ডেটার প্রয়োজন হয় না। তাই রিচার্জের সময়ও সাশ্রয় হয়।

স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে গেলে বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে স্মার্টফোনের স্ক্রিন ভেঙে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় সকলেরই রয়েছে। কিন্তু ফিচার ফোন স্মার্টফোনের থেকে অনেকটাই মজবুত হয়। তাই হাত থেকে পড়ে গেলে ভাঙার সম্ভাবনা থাকে না।

ফিচার ফোনে ব্যাক কভার যে কোনও সময় খুলে ফেলা সম্ভব। তাই চাইলে ব্যাটারি অথবা সিম কার্ড যে কোনও সময় বদল করা সম্ভব। যদিও এখন স্মার্টফোনগুলিতে আর সেই সুবিধা পাওয়া যায় না। সিম বদল করা গেলেও সিম ট্রে বের করতে প্রয়োজন হয় বিশেষ পিন। যা সঙ্গে না থাকলে চাইলেও স্মার্টফোনের সিম বদল করতে পারবেন না।

ক্রমাগত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের নোটিফিকেশনে বিরক্ত হলে আপনি ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন। এই ফোনগুলিতে লিমিটেড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলেও নোটিফিকেশন আসে না। ফলে নিজের কাজে মন দিতে পারেন।

এখন স্মার্টফোন ব্যাটারি প্রতিদিন চার্জ করতে হয়। কিন্তু আগে এমন ছিল না। এক চার্জে দিনের পর দিন চলত কিপ্যাড ফোনগুলি। স্মার্টফোন ব্যবহার শুরুর পর থেকেই ব্যাগে চার্জার নিয়ে ঘোরেন অনেকেই। কিন্তু ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করলে ফের এক চার্জে গোটা সপ্তাহ চলবে আপনার ফোন।

কোন জিনিস ১ কেজি কিনলে হয়ে যায় ২ কেজি, আর ফেলে দেওয়ার সময় হয়ে যায় ৩ কেজি

ডাম্বফোন ব্যবহার করলে নোটিফিকেশন ও আপডেট আসবে না। সেই কারণে ধীরে ধীরে আপনার জীবনে মনঃসংযোগ বাড়বে। ফলে আপনি নিজের জীবন আরও ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button