World wide News

তাল খাওয়ার উপকারিতা কী? (Latest Update)


লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাঙালিয়ানা খাবারগুলোর জনপ্রিয়তায় অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে তাল ফল। সুস্বাদু এ ফলের রস খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। অনেকে আবার কমলা রঙের রস দিয়ে নানা পদের পিঠা তৈরি করে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানেন না তালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

তাল এমন একটি ফল কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে খাওয়া যায়। পাকা তাল থেকে রস বের করে খাওয়া যায়। আবার এর বীজ দীর্ঘদিন মাটিতে রেখে দেয়ার পর তা থেকে পাওয়া শাঁসও খাওয়া যায়।

স্বাস্থ্যগুণে অনন্য ও সুস্বাদু পাকা তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।

পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম পাকা তালে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলো ক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। তাই অনেক রোগেরই মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে পাকা তাল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ কিংবা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা প্রায়ই বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তারা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিন দিন খেতে হবে।

একই পদ্ধতিতে তাল খাওয়ার অভ্যাসে পুরুষত্বহীনতায় উপকার পাওয়া যায়। বমিভাব দূর করতেও এভাবে পাকা তাল খেতে পারেন। যদি পুরোনো কোনো কাশি কোনোভাবেই আপনার পিছু না ছাড়ে, তবে একই পদ্ধতিতে তাল খেয়ে উপকার পাবেন।

তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে পাকা তাল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button