বিচার বিভাগে আওয়ামী পুনর্বাসনের প্রতিবাদে এএজি পদ প্রত্যাখ্যান নাজমুল হুদার (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
আওয়ামী পুনর্বাসনের প্রতিবাদে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) পদ নিয়োগ পাওয়ার পরও যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা। নিজের ফেসবুক পোস্টে যোগদান না করার চিঠির ছবি দিয়ে লেখেন, “প্রত্যয় ছিল, সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিনিধিত্ব করব। সামর্থ্যের সবটা দেয়ার সুযোগ নেই, বুঝতে পেরে, যোগদান করা হল না।”
এ বিষয়ে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা বলেন, গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আমাকেসহ অন্যদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর পরের দিন (২৯ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণে আমি কাজে যোগ দিতে পারছি না মর্মে চিঠি দিয়েছি।
এর আগে, উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য নতুন করে ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) নিয়োগ দেয় অন্তবর্তী সরকার।
গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৬৬ আইনজীবীকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গত ১৩ আগস্টের আগে নিয়োগ পাওয়া সব ডেপুটি অ্যাটর্নি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ওইদিন রাতে এই নিয়োগ ও বাতিল সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেন আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৩ আগস্ট ৯ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যতীত পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত সব ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ আদেশ বাতিলপূর্বক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার ১৯৭২ এর ৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ৬৬ জন আইনজীবীকে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১৬১ জন আইনজীবীকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ করলেন।