World wide News

বাসর রাতে ব্রা খুললেই শাস্তি, জানুন বিয়ের যত অদ্ভুত প্রথা (Latest Update)


লাইফস্টাইল ডেস্ক : ‘যস্মিন দেশে যদাচার’—এমন একটা প্রবাদ আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এসব কথা কিন্তু এমনি এমনি তৈরি হয়নি। কারণ এক দেশে যেটা রীতিমত আবশ্যকীয় কাজ, সেটাই দেখবেন আরেক দেশে রীতিমত অপরাধ কিংবা অদ্ভুতুড়ে! এই যেমন কিংবা স.হ.বা.সে.র কথাই ধরুন।

স্বাভাবিক যৌ’ন’তা’র রীতিনীতি নারীদের মতো পুরুষদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলেই এই কাজে অদ্ভুত কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করেছেন। বিশ্বে এমন কিছু অদ্ভুত যৌ’ন’মি’ল’নের প্রথা রয়েছে, যা সত্যিই অবাক করার মতো।

অন্যের স্ত্রী চুরি করার রীতি
পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের ওদাবে উপজাতির বাসিন্দাদের বিয়ে দেওয়া হয় ছোটবেলাতেই। এর পর তারা বড় হলে বাৎসরিক গেরেওল উৎসবে ওদাবে পুরুষরা মেকআপ করে এবং পোশাক পরে অন্য পুরুষের স্ত্রী চুরি করার চেষ্টা করে। যদি কোনো পুরুষ অন্যের স্ত্রীকে চুরি করতে সক্ষম হন, তা হলে তারা একসঙ্গে থাকার অনুমতি পান। বৌহারা পুরুষটির কপালে আসে অন্য এক মহিলা।

কিশোরীদের স’ঙ্গ’মে’র আলাদা রুম
কম্বোডিয়ার ক্রেউং উপজাতি তাদের সম্প্রদায়ের কিশোরীদের স’ঙ্গ’মে’র জন্য একটি করে কুঁড়েঘর তৈরি করে। তবে মজার বিষয় হল, প্রতিদিন এই কুঁড়েঘরে আলাদা আলাদা ছেলেরা এসে এক রাত করে কাটায়। ওই কিশোরী উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেয়েছে বলে ঘোষণা করলে, তবেই বন্ধ হয় আলাদা আলাদা ছেলেদের আনাগোনা।

আবার মুরিয়া উপজাতির যুবকদের ‘ঘোটুল’ নামক ছাত্রাবাসে পাঠানো হয়। তবে এই ছাত্রাবাসে সাধারণ পড়াশুনা হয় না। এখানে শেখানো হয় স’ঙ্গ’মে’র পাঠ। ঘোটুল-এ ছেলে-মেয়ে উভয়েই যায়। সেখানে ছেলে-মেয়েদের কাছাকাছি রাখা হয়, যাতে তারা যৌ’ন’মি’ল’ন শুরু করে। কিছু ঘোটুলে, কিশোর-কিশোরীর একটি মাত্র সঙ্গীর সঙ্গে শা’রী’রিক সম্পর্কের শিক্ষা দেওয়া হয়। আবার কিছু ঘোটুলে শেখানো হয় যে, কেউ যেন কোনো এক বিশেষ জনের প্রতি দুর্বল না হয়ে পড়ে।

টুকরো আপেল ইঙ্গিত দেয় অস্ট্রিয়ায়
আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত দেশ অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে অদ্ভুত যৌ’ন’মি’ল’নে’র প্রথা রয়েছে। সেখানকার তরুণীরা বগলের নীচে এক টুকরো আপেল রেখে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন।

নৃত্য শেষে ওই মহিলারা নিজেদের পছন্দের পুরুষের কাছে যান এবং ওই আপেলের টুকরোটি তার দিকে বাড়িয়ে দেন। যদি পুরুষটি ওই আপেলের টুকরোটি খেয়ে নেন, তাহলে তার মানে দাঁড়াবে এই যে, ওই পুরুষটি ওই মহিলার সঙ্গে যৌ’ন আনন্দে লিপ্ত হতে রাজি। এর পরই এই যুগল উদ্দাম যৌ’ন’মি’ল’ন শুরু করেন। তবে ওই পুরুষ আপেলের টুকরোটি ফিরিয়ে দেন, তাহলে আর যৌ’ন’মি’ল’নে’র কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আপেলের টুকরো নিয়ে অন্য পুরুষের দিকে এগিয়ে যান মহিলা।

অন্তর্বাস পরেই স’ঙ্গ’ম কিংবা বী’র্য’পান
পাপুয়া নিউ গিনির অন্যতম বিশেষ উপজাতি সাম্বিয়ান। সাম্বিয়ান উপজাতির ছেলেদের সাত বছর বয়স হলেই মেয়েদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়। ১০ বছর পর্যন্ত তাদের কোনো মেয়ের আশেপাশে যেতে দেওয়া হত না। ১০ বছর ধরে এই ছোট ছেলেগুলোকে সাম্বিয়ান উপজাতির সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধার বীর্য পান করতে হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই নিয়ম মেনে চললে ছেলেরাও বড় যোদ্ধা হবে এবং তারা সঙ্গীদের সমস্ত রকম যৌ’নসুখ দিতে সমর্থ হবে।

সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, আয়ারল্যান্ডের কাছে থাকা ইনিস বেগ দ্বীপে মানুষেরা নিজেদের অন্তর্বাস পরেই সঙ্গ’ম করেন। চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেও তারা নিজেদের অন্তর্বাস খুলে রাখেন না। আর কেউ তা খুললে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়!

বাড়ির সবাই বিয়ে করে একজনকে
এ যেন মহাভারতে পাণ্ডবদের পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র স্ত্রী দ্রৌপদীর গল্প! কাছের দেশ নেপালের কিছু উপজাতির এখনও এধরনের রীতিতে বিশ্বাসী। বাড়ির সমস্ত ছেলে বিয়ে করেন এক তরুণীকে।

তবে এই নিয়মের নেপথ্যে বিশেষ কারণ রয়েছে। মূলত সম্পত্তির বেশি ভাগ না হয়, সেই কারণেই সব ভাই মিলে এক জন নারীকে বিয়ে করেন। আর তাই এই উপজাতির পুরুষেরা বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়াতেও বিশ্বাসী নন।

শেখানোর জন্য যৌ’নমিলন
প্রাচীন গ্রিসে বিবাহিত এবং অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরা কিশোরদের সঙ্গে স’ঙ্গ’ম করতেন। তবে শিশুদের সঙ্গে স’ঙ্গ’ম করা হত না। সদ্য বয়ঃসন্ধি পেরনো কিশোর, যাদের বয়স সাধারণত ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে, তাদের সঙ্গেই যৌ’নমি’লন করতেন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরা।

৫ রাশির জাতকই সবচেয়ে হট হয়

শুধু তাই নয়, কুক দ্বীপপুঞ্জের বৃত্তাকার দ্বীপ মাঙ্গাইয়ায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে নিউজিল্যান্ডের থেকে মুক্ত একটি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র। এই দ্বীপ এক অদ্ভুত যৌ’ন ঐতিহ্যের কারণে বিখ্যাত। মাঙ্গাইয়া দ্বীপে অল্পবয়সী যুবকদের সঙ্গে যৌ’নমিল’ন করেন বয়স্ক মহিলারা। কীভাবে অল্পবয়সি যুবকেরা নিজের সঙ্গীকে খুশি করবেন, তা শেখানোর জন্যই তাদের প্রথমে বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে স’ঙ্গ’ম করতে বলা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button