Latest News

নবম শ্রেণীতে পরীক্ষা ও এসএসসিতে বিভাগ বিভাজন যেভাবে (গুরুত্বপূর্ণ খবর)

সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বিভাগ বিভাজন ফেরানোর ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে নতুন কারিকুলাম না রাখার কথাও জানান।

এরপর থেকে প্রশ্ন উঠেছে, এ বছর যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তাদের ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। তাদের এসএসসি পরীক্ষায় কোন পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নপত্র হবে? তারা দশম শ্রেণিতে ওঠার পরই বা কীভাবে বিভাগ বিভাজন হবে এবং এক বছর পড়েই এসএসসি পরীক্ষা দিতে হবে কি না; এমন নানা প্রশ্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৩১ আগস্ট) কথা বলেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে করণীয় কী, তা তুলে ধরেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, নবম শ্রেণিতে অনেক দূর নতুন পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা হয়ে গেছে। তাদের মূল্যায়নও এভাবে হয়ে গেছে। বাকি কয়েকমাস আছে। এ কয়েক মাসে অন্তত একটা ছকের মধ্যে এনে খুব দ্রুত একটা গবেষণা করে যারা শিক্ষাবিদ আছেন, যে বইগুলো আছে, এর ভিত্তিতেই একটা কিছু করা হবে। অন্তত তারা পরীক্ষা দিক।

তিনি বলেন, পরীক্ষা না দিলে তো আমাদের দেশে যে শিক্ষাব্যবস্থা, তা দিয়ে মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে না। এ ব্যবস্থায় দশম শ্রেণিতে এসে বাণিজ্য বিভাগ, মানবিক বিভাগ বা বিজ্ঞান বিভাগ বেছে নেওয়ার যে ব্যবস্থা তাতে ফিরে যাচ্ছি।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের (নবম) আমি আশ্বাস দিচ্ছি, তারা একভাবে পড়ে ফেলেছে। বাকি কয়েক মাস আছে। কাজেই তাদের দশম শ্রেণিতে এসে যদি বিশেষায়িত বিভাগ বিজ্ঞান, মানবিক শাখা বা বাণিজ্য শাখা, বিশেষায়িত বিষয়গুলো নিতে হয়, সেটা তারা নিজেরাই বাছাই করতে পারবে।‌

‘তারপরও তাদের শিক্ষণে একটি ঘাটতি থাকবে। কারণ নবম শ্রেণি তো চলে গেছে। আমি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা যে পাঠ্যপুস্তক আসছে, সেগুলো প্রথম দিকে তারা চালিয়ে যেতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না’ বলেও উল্লেখ করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

নতুন বছরে বইয়ের ছাপার মান কেমন হবে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, জানুয়ারি মাসে সব (বই) দিতে পারবো না। চেষ্টা করছি এবং অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, কিছু প্রয়োজনীয় বই দিলে পাঠ্যক্রম শুরু করা যায়। এটা ঠিক যে তাড়াহুড়া করে আমি বইয়ের মান নষ্ট করতে চাই না। এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের বলেছি, বইয়ের ছাপা বইয়ের যে কাগজ, এগুলোর মান আগের থেকে ভালো হতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button