মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে ‘কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ গঠন (Latest Update)
জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে ‘কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের ইসলামি ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে চট্টগ্রাম এবং রাজধানী ঢাকার শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে দেশের বৃহত্তম দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম হাটহাজারী, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, জামিয়াতুল উলুম লালখান বাজার, দারুল মারিফ আল ইসলামিয়া, নজিরহাট বড় মাদরাসা, রাজধানীর ফরিদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, রহমানিয়া আজিজিয়া, বারিধারা, মাদানীনগর, শরইয়্যাহ মালিবাগ, মিরপুর আকবর কমপ্লেক্স, মাখজানুল উলুম খিলখাও, দারুল উলুম মিরপুর, ইব্রাহিমিয়া সাইনবোর্ড, শাইখ জাকারিয়া রিসার্চ সেন্টার, আশরাফিয়া সাইনবোর্ড, মিফতাহুল উলুম বাড্ডা, আনওয়ারুল উলুম সালামবাগ, জামিয়া ইসলামিয়া মধুপুর, মক্কীনগর কেরানীগঞ্জ, বাবুস সালাম উত্তরা, জামিয়া মুহাম্মদিয়া উত্তরা, দারুল আরকাম উত্তরা, দারুল উলুম দক্ষিণখান, সাইদিয়া কারিমিয়া রামপুরা, জামিয়া জিরি (সাক্ষরিত) সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় চল্লিশোর্ধ্ব কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে উপস্থিত হন।
এতে সব মাদ্রাসা প্রতিনিধি ছাত্ররা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়।
১. শীর্ষস্থানীয় সব মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতিক্রমে ‘কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ গঠিত হয়।
২. কওমি শিক্ষাকে জাতীয়করণ এবং কওমি সনদ/স্বীকৃতি বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি হাইয়্যাতুল উলয়ার অধীনস্থ ছয় বোর্ডের উপযুক্ত দায়িত্বশীল এবং দেশের কওমি অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ ওলামায়ে কেরামের সাথে এ বিষয়ে দ্রুত মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৩. স্বীকৃতি কার্যকারিতার পদক্ষেপ নিয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত আবেদন জানানোর ব্যাপারে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৪. দেশের অন্যান্য অঞ্চল তথা সিলেট বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, বরিশাল বিভাগসহ অন্যান্য জেলাধীন শীর্ষ কওমি মাদ্রাসাগুলোকে দ্রুত সমন্বয় করে অবহেলিত কওমি অঙ্গনকে জাতীয় পর্যায়ে আনার জন্য ‘কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সর্বশেষ মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে আগামীর পদক্ষেপের সফলতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মজলিশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আসামের ৪০ জন বাঙালী মুসলমানকে পাঠানো হল বন্দী শিবিরে