র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বিয়ের ছবি নতুন করে ভাইরাল (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
২০১১ সালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক পা হারান ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের লিমন হোসেন। এ ঘটনা তখন দেশ-বিদেশে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। লিমনের পাশে দাঁড়ায় সব মহল। প্রশ্ন ওঠে র্যাবের অভিযান নিয়েও।
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন লিমন। যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওপাড়া পৌরসভার সরখোলা গ্রামের টিটু মোল্লার মেয়ে রাবেয়া বশরীকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়েতে লিমনের সহপাঠী ও আত্মীয় স্বজনসহ অনেকেই অংশ নেন।
দিনটি ছিল শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন দুপুরে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় দুই লাখ টাকা দেনমোহরে। তাদের বিয়ে পড়ান স্থানীয় কাজী মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম।
বিয়ের পর লিমন হোসেন তখন জানিয়েছিলেন, পরিবারের ইচ্ছায় বাবা-মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে জীবনে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে চান তিনি। তার স্ত্রী রাবেয়া বশরীও বলেছিলেন, লিমন প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ করে ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। তার সবকিছু শুনে আমার তার লেগেছে। দাম্পত্য জীবনেও তিনি দায়িত্বশীল হবেন বলে আশা করেন।
২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর (গত মঙ্গলবার) তাদের বিয়ের তিন বছর পূর্ণ হয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘লিমনের দাম্পত্য জীবন শুরু’ নিয়ে নতুন করে খবর প্রচারিত হয়।
ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে লিমনের বিয়ের পুরনো ছবি দিয়ে কয়েকটি পোস্ট করা হয়। সেসব পোস্টের কমেন্টে অনেকেই লেখেছেন, ‘লিমন বিয়ে করেছেন ২০২১ সালে, এসব খবর ভুয়া।’
লিমন হোসেন যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, তার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের, আইন সালিশ কেন্দ্র, মানবাধিকার কমিশন ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহর। লিমন বর্তমানে সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের শিক্ষক।
এর আগে আগে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বন্দুক যুদ্ধের নামে র্যাবের গুলিতে পা হারিয়ে ছিলেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান কলেজছাত্র লিমন হোসেন। সে বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচিত হয়, প্রশ্নবিদ্ধ হয় র্যাবের অভিযান।