World wide News

এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা, ২৪ কিমি দূর থেকেও পিঁপড়ার ছবি তুলতে সক্ষম (Latest Update)


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ওজন একটি গাড়ির সমান, দাম ১৩৯৭ কোটি টাকার কাছাকাছি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরার আর কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে? লার্জ সিনোপটিক সার্ভে টেলিস্কোপ (এলএসএসটি) ডিজিটাল ক্যামেরাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্যামেরা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। আমেরিকার এসএলএসি ন্যাশনাল অ্যাক্সিলেটর ল্যাবরেটরিতে এই ক্যামেরাটি তৈরি হয়েছে।

৩২০০ মেগা পিক্সেলের ছবি তোলে এসএলএসি ক্যামেরা। প্রায় ২০ বছর আগে এই ক্যামেরা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। চিলের আন্ডেস এলাকার একটি অবজার্ভটেরির সিমোনি সার্ভে টেলিস্কোপের সঙ্গে যুক্ত করা হবে এলএসএসটি ক্যামেরা।

১০ বছর এলএসএসটি ক্যামেরাটি টেলিস্কোপের সঙ্গে জুড়ে থাকবে। রাতের আকাশের স্পষ্ট ছবি তোলার জন্যই ক্যামেরা যুক্ত করা হবে। ৩২০০ মেগাপিক্সেলের ছবি তুলতে সক্ষম এলএসএসটি ক্যামেরাটি ২৬০টি আইফোন ১৪ প্রো ক্যামেরার সমতুল্য।

এলএসএসটি ক্যামেরার মাধ্যমে মহাকাশের ‘ডার্ক ম্যাটার’ বা ‘ডার্ক এনার্জি’র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপটিক ক্যামেরা হিসাবে গিনেস বুকে নজির গড়েছে এলএসএসটি ক্যামেরা।

এলএসএসটি ক্যামেরার মাধ্যমে চাঁদের উপরিভাগে উপস্থিত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পদার্থের ছবি তোলা সম্ভব বলেও বিজ্ঞানীদের দাবি। ২৪ কিলোমিটার দূর থেকে এলএসএসটি ক্যামেরা দিয়ে একটি তিলের বীজের স্পষ্ট ছবি তোলা যায় বলে দাবি করেছেন ক্যামেরার আবিষ্কারকেরা।

এলএসএসটি ক্যামেরার সামনে পাঁচ ফুট চওড়া একটি লেন্স রয়েছে। ‘কম্পোসিট সেন্সর’ হিসাবে এলএসএসটি ক্যামেরায় ১৮৯টি আলাদা সিসিডি (চার্জড কাপল ডিভাইস) সেন্সর লাগানো রয়েছে।

মোবাইলে ভার্চুয়াল র‌্যামের সুবিধা কি? এটা কি সত্যিই কাজ করে

এলএসএসটি ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১৩ ফুট এবং এর উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুটের কাছাকাছি। হিমাঙ্কের ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচেও নিপুণ ভাবে কাজ করতে পারে এলএসএসটি ক্যামেরা। ভেরা সি রুবিন অবজ়ারভেটরির টেলিস্কোপের সঙ্গে এলএসএসটি ক্যামেরাটি ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্ত করা হয়ে যাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button