World wide News

জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন এনেছে বিশ্বের যেসব দেশ (Latest Update)


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতীয় সংগীত হচ্ছে একটি দেশের জাতীয় পরিচয় ও ঐতিহ্যের প্রতীক। তবে বিশ্বের অনেক দেশেই জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হয়েছিল নানা প্রেক্ষাপটে। লিঙ্গবৈষম্য, ভাবমূর্তি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে অনেক দেশ তাদের জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন এনেছে। এমন পরিবর্তনগুলো সাধারণত জাতীয় উন্নতি বা নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে হয়ে থাকে।

বিশ্বের বেশ কিছু দেশ বিভিন্ন কারণে তাদের জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন এনেছে। যে তালিকায় রয়েছে উন্নত অনেক দেশের পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বের দেশও। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসব পরিবর্তন প্রভাব ফেলেছে দেশগুলোর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জগতে।

২০০৮ সালে নেপালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। ১৯৬২ সালে গ্রহণ করা নেপালের আগের জাতীয় সংগীতে রাজতন্ত্রের প্রশংসা ছিল। তাই এতে পরিবর্তন আনা হয়। তুন একটি গানকে জাতীয় সংগীতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বেশ কয়েকবার জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনা হয় আফগানিস্তানে। তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানে কোনো জাতীয় সংগীতই ছিল না। পরে ২০০২ সালে পুরোনো জাতীয় সংগীতকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তৎকালীন কারজাই সরকার সবকিছু নতুন করে শুরু করতে জাতীয় সংগীতও পরিবর্তন করে।

এই তালিকায় রয়েছে রাশিয়াও। ভ্লাদিমির পুতিন ২০০০ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৯০ সালের আগে ব্যবহৃত জাতীয় সংগীত ফিরিয়ে আনেন। তবে গানের কথায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। জাতীয় সংগীতে লিঙ্গ সমতা আনার জন্য পরিবর্তনের পরিকল্পনা চলছে জার্মানিতে। সংগীতের যে অংশে ‘ফাটারলান্ড’ অর্থাৎ ‘পিতৃভূমি’ বলা হচ্ছে, সেখানে ‘হাইমাট’ অর্থাৎ ‘জন্মভূমি’ লেখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

দুবাই থেকে শিখে শুরু করেন জমি ছাড়াই চাষবাস, এখন বছরে আয় ৭০ লাখ টাকা

লিঙ্গ সমতা আনার জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংগীতেও। সংগীতে ‘ছেলেরা’-এর জায়গায় ‘মেয়েরা এবং ছেলেরা’ লেখা হয়েছে। এটি করা হয় ২০১২ সালে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এসব দেশেও এসেছে জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button