আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগের দুই কর্মী আটক (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা। শনিবার রাজশাহী নগরীর পঞ্চবটি শ্মশান ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত ৫ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন অভিযুক্তরা।
আটক দুজন হলেন- মোহাম্মদ সানি ও মোহাম্মদ কটা। সানি রাজশাহীর একটি ছাপাখানায় কাজ করেন ও কটা পেশায় ভ্যানচালক। তারা ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সির আরমান আলীর ক্যাড়ার ও ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানায় তারা।
পুলিশে সোপর্দ করার সময় তারা গণমাধ্যমকে জানান, তারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নন। তারা লোকমুখে শুনেছেন, এক মেয়েকে ৫ আগস্ট দুপুরে ধর্ষণ করা হয়েছে। ৮-১০ জন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। জড়িতদের সঙ্গে তারা রাজনীতি করেন, তাই তাদের আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
বোয়ালিয়া মডেল থানা প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এটি এমন একটি ঘৃণিত কাজ, আমরা আশঙ্কা করছি যে পরিবার সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রেখেছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, ছাত্র-জনতা ২ জনকে থানায় সোপর্দ করেছেন। তারা আহত অবস্থায় ছিল, তাই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।