নুরুল আজিম রনিসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টা মামলা (গুরুত্বপূর্ণ খবর)
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনিসহ ৯৫ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জোনাইদ।
মামলা দায়েরের বিষয়টি আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেন মামলাটির উপ-পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার জিয়াউল হক জোনাইদ বলেন, গত ১৬ জুলাই রনিসহ তার দল আমাদের ওপর হামলা করেন। বিভিন্ন দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্র দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের অনেককেই গুরুতর যখম করেন। আমাকেও হত্যাচেষ্টা করে, তবে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এতটুকুই প্রত্যাশা।
ওইদিন চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। এসব ঘটনায় পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: মাজার ব্যবসা বন্ধে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত চান গোলাম মাওলা রনি
জানা যায়, গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে সমাবেশ ডাকে শিক্ষার্থীরা। একই দিনে একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আজিম রনিও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন সকাল থেকে ষোলশহর রেলস্টেশনে দলবল এবং অস্ত্রধারীদের নিয়ে অবস্থান নেন রনি। একপর্যায়ে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবর ও জাফর নামে আরেক অস্ত্রধারী সেখানে যান। সংঘাত এড়াতে শিক্ষার্থীরা পরে মুরাদপুর এলাকায় সমাবেশ করেন।
এরপর রনি ও বাবর একদল অস্ত্রধারী নিয়ে ষোলশহর থেকে মুরাদপুর গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ লিপ্ত হন। ওই সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করেন যুবলীগের জাফর, ডাকাত ফিরোজ, মিঠু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেলোয়ার। বাবরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাফর প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র বিলি করেন। ওইদিনের সংঘর্ষে প্রাণ হারান— চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম আকরাম, মুরাদপুরের ফার্নিচার দোকানের কর্মী মোহাম্মদ ফারুক ও কলেজছাত্র ফয়সাল আহমদ শান্ত।
এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নুরুল আজিম রনি ৯ আগস্ট মধ্যরাতে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করেন।