World wide News

রহস্যময় অ্যাশেন লাইটকে যেভাবে ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানীরা (Latest Update)


অ্যাশেন লাইট সম্পর্কে অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে। এর মধ্যে পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত আলো, মেরুজ্যোতি, এয়ার-গ্লো বিকিরণ, বজ্রপাত ও অবলোহিত বিকিরণ, শুক্রের বায়ুমন্ডলীয় তাপ থেকে উৎপন্ন আলো ইত্যাদি অন্যতম। ফলে অনেক বিজ্ঞানীই অ্যাশেন লাইট আছে বলে মনে করেন।

এসব ব্যাখ্যা অবশ্য বেশির ভাগই এক বা একাধিক দিক দিয়ে দুর্বল। তবে সূর্য থেকে নির্গত শক্তিশালী সৌরবায়ু ও অতিবেগুনি রশ্মি বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন পরমাণুকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে। এর স্বপক্ষে ভালো প্রমাণ আছে। আর পরমাণু উত্তেজিত হলে যে আলো নির্গত করে, এ কথা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্তু সেই আলোই কি অ্যাশেন লাইট? না, এমনটা বলারও সুযোগ নেই।

পৃথিবীর মেরুজ্যোতিতে যে ম্লান রঙিন আভা তৈরি হয়, তার সঙ্গে অনেকটা মেলে বিষয়টা। তবে প্রক্রিয়াটি এক নয়। কারণ, সূর্যের উচ্চশক্তির চার্জসম্পন্ন কণাগুলো যখন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ায় জড়ায়, তখন পৃথিবীতে মেরুজ্যোতি তৈরি হয়। কিন্তু শুক্রে এরকম শক্তিশালী কোনো চৌম্বকক্ষেত্র নেই। তাই এই ব্যাখ্যা পুরোপুরি উত্তর দিতে পারে না। বাকি ব্যাখ্যাগুলোও কোথাও না কোথাও এভাবে আটকে যায়।

কয়েক শ বছর পেরোনোর পরও শুক্রের এই আলো এখনও রহস্যময়। ভবিষ্যতে এই আলোর উৎস ও বৈশিষ্ট্য জানা গেলে, পরিমাপ করা গেলে বৈজ্ঞানিকভাবে অ্যাশেন লাইটের অস্ত্বিত্ব স্বীকৃত হবে। নাহয় দৃষ্টিভ্রম হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে রহস্যময় এই আলোক উৎসকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button