চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮ (Latest Update)
জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব রেজিস্টার অফিস থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৩ জনকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দৌলতপুর উপজেলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দৌলতপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হতো। সে সময় এ চাঁদার অর্থ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, অফিসের কর্মকর্তা ও দলিল লেখকরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিত। সরকার পতনের পর রেজিস্ট্রি অফিসের দখল নেয় বিএনপিপন্থীরা। তারা প্রথমেই বেছে বেছে আওয়ামীপন্থী দলিল লেখকদের সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর আগের প্রক্রিয়ায় তারা দলিল প্রতি চাঁদা উত্তোলন শুরু করেন।
দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল অভিযোগ, উপজেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কতিপয় নেতাকর্মী এ চাঁদাবাদির সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, তার বাবা দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেনের নাম ভাঙিয়ে এ চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। এ কারণে তিনি এ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পর্যন্ত গড়ায়। কর্নেল আরও জানান, এরপর দলের শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী বুধবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা বাজারে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে বৈঠকে বসে উভয় পক্ষ। পরে কথা কাটিকাটির একপর্যায়ে রেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের নেতৃত্বে জাফর ইকবাল কর্নেল ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা লাঠি সোঁটা দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটায়। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বয়োবৃদ্ধ আকবর হোসেনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এতে কর্নেলসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত কর্নেল কৌশিক ও রতনকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত কর্নেল জানান, বিগত ১৭ বছর তিনি এবং তার বাবা আওয়ামী লীগের হামলা মামলায় নিষ্পেষিত। আওয়ামী লীগের লোকদের ভয়ে উপজেলার কোথাও বিএনপি অফিস চালাতে সক্ষম না হলেও তার বাবা আকবর হোসেন উপজেলা বাজারের বিএনপির অফিস টিকিয়ে রেখেছিলেন। সেই অফিসেই দলের লোকদের হামলার শিকার হয়েছেন তারা। তিনি দলীয় হাইকমান্ডের কাছে এর বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, লোক মুখে জানতে পেরেছি যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।