দুর্ঘটনায় থেকে রক্ষা পাবে চালক (Latest Update)
প্রাইভেট কারের সেফটির জন্য এয়ারব্যাগ দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার সময় এই এয়ারব্যাগ চালক ও আরোহীকে নিরাপদে রাখে। এবার এয়ারব্যাগ যুক্ত হচ্ছে মোটরসাইকেলে। শিগগিরই বাজারে আসছে বিশ্বের প্রথম এয়ারব্যাগযুক্ত মোটরসাইকেল।
গাড়ির সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম এয়ারব্যাগ। যে বৈশিষ্ট্যের উপর ভরসা করে থাকেন চালক ও যাত্রীরা। কিন্তু, কেউই চান না এয়ারব্যাগ কাজে লাগুক। তবে দুর্ঘটনায় চালক ও যাত্রীকে রক্ষা করে এয়ারব্যাগ।
এবার সেই সুবিধা পাওয়া যাবে বাইকে। বিশ্বের প্রথম এয়ারব্যাগ চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে জাপানের হোন্ডা। এটির নাম হোন্ডা গোল্ডউইং।
দুর্ঘটনার সময় গাড়ির মতো খুলে যাবে এয়ারব্যাগ। সং.ঘ.র্ষ লাগলে চালকের মুখের সামনে খুলবে এয়ারব্যাগ। ফলে দুর্ঘটনায় বড় আঘাত থেকে রক্ষা পাবে চালক। এটি কোম্পানির অন্যতম প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল। হোন্ডা গোল্ড উইংয়ের দাম রয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। দামের দিক দিয়ে এটি টয়োটা ফর্চুনারের থেকেও দামি।
হোন্ডা গোল্ডউইং বাইকের ফিচার
বাইকে রয়েছে ১৮৩৩ সিসি লিকুইড কুল্ড ৬ সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ৯৩ কিলোওয়াট শক্তি এবং ১৭০ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে পাবেন ৭ স্পিড গিয়ারবক্স।
বাইকের ওজন ৩৯০ কেজি, সিটের উচ্চতা ৭৪৫ মিলিমিটার। এই বাইক থেকে সর্বোচ্চ ১২৪.৭ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি হয়। এই হর্সপাওয়ার হাইওয়ে রোডের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত।
ফিচার্সের কথা যদি বলেন, তাহলে এতে পাবেন ৭ ইঞ্চি টিএফটি কালার সপ্লে এবং ইলেকট্রিক উইন্ডশিল্ড। বাইকে মিলবে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটিও। হোন্ডা গোল্ডউইং ট্যুরে রয়েছে ফুল এলইডি লাইটিং, যা রাতের বেলা রাইডারদের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
গাড়ির মতো এতে পাবেন অ্যানড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে সাপোর্ট, যা খুব কম বাইকেই রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মোটরসাইকেলে রয়েছে স্পিকার এবং টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম। এতে এয়ারব্যাগের পাশাপাশি দুইটি ইউএসবি টাইপ-সি কানেক্টিভিটি ফিচার্সও রয়েছে।
বাইকে সুরক্ষা তো সেরা রয়েছে, পাশাপাশি বিনোদনের জন্য মজুত গুচ্ছের ফিচার্স। লং ট্যুরের ক্ষেত্রে যে সব রাইডার এই বাইক নিয়ে বেরোবেন তাঁদের যাত্রা মনোরম করে তুলতে যা যা সুবিধা থাকা দরকার সবই রয়েছে।
হোন্ডা গোল্ডউইং বাইকে একটি এয়ারব্যাগ রয়েছে চালকের সুরক্ষার জন্য। আর এটি বাইকের ফুয়েল ট্যাংকের কাছে ইনস্টল করা থাকে।
বিএমডব্লিউর ই-স্কুটার এক চার্জে চলবে ১৩০ কিলোমিটার: দাম জেনে নিন
আর ফুয়েল ট্যাংকের বিশেষত্ব হল, এটির সিটের নিচে রাখা থাকে, বাইকে তিনটি আলাদা স্টোরেজ বক্স রয়েছে। বাইক যখনই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে, তখনই এয়ারব্যাগ খুলে যাবে।