Information

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ (গুরুত্বপূর্ণ)


সুস্থ সন্তান জন্ম দান এবং গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের জন্য গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়। তবে গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সালে তা অনেক গর্ভবতী মায়েরা জানেন না।

বর্তমানে গর্ভবতী ভাতা নীতিমালা অনুযায়ী গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়ের বয়স ২০ বছরের কম হলে তিনি গর্ভবতী ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার 6 মাস অন্তর অন্তর সর্ব মোট ৪ বার গর্ভবতী ভাতা প্রদান করে থাকে। গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দরিদ্র মায়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সালে তা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমানে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়।

অর্থাৎ প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হিসাবে ৬ মাস পর পর ৪৮০০ টাকা গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়। একজন গর্ববতী মহিলা ২৪ মাসে সর্বমোট প্রায় ১৯,২০০ টাকা গর্ভবতী ভাতা পেয়ে থাকে।

একজন গর্ভবতী মা ২ একটি সন্তানের জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে ৩৬ মাসে সর্বমোট প্রায় ২৮,৮০০ টাকা গর্ভবতী ভাতা পেয়ে থাকেন।

গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন

অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে লিখে সার্চ করতে হবে।

অতঃপর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন হলে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদানের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-

  • সরকারি অনুমোদিত হাসপাতালের ডাক্তার দ্বারা সত্যায়িত গর্ভধারণের মেডিকেল রিপোর্ট।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটো কপি।
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এমন একটি সচল নাম্বার।

গর্ভবতী ভাতা আবেদন ফরম

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর আবেদন ফরমে আবেদনকারী ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং তৃতীয় ধাপে অর্থ ও সামাজিক তথ্য প্রদান করতে হবে। চতুর্থ ধাপে একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে।

মোবাইল নাম্বারটিতে অবশ্যই মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ নগদ, বিকাশ, রকেট একাউন্ট থাকতে হবে। সবশেষে সংরক্ষণ করুন অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরম সাবমিট করতে হবে।

গর্ভবতী ভাতা নীতিমালা

সকলেই গর্ভবতী ভাতা পায় না। গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গর্ভবতী ভাতা নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। গর্ভবতী ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৫ অনুযায়ী গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

  • আবেদনকারীর বয়স ২০ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
  • নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি বা পুকুর নেই।
  • কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে।
  • আবেদনকারীর মাসিক আয় ১৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার নিচে থাকতে হবে।
  • প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের ২ বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে কত টাকা লাগে

ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদন করা যায়। গর্ভবতী ভাতা আবেদন করতে মাত্র 40 টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হয়।

শেষ কথা

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সালে তা বাংলাদেশ সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছর থেকে বর্তমান ২০২৪ সালে সর্বমোট ৭ লক্ষ ৭০ হাজার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়। গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান অথবা মেম্বারের অনুমতি পত্র প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button