বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমিও চাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (Latest Update)
জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কেবল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয় সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সদস্য হিসেবে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের বিচার আমিও চাই।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হবে- এ কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, কেবল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয় সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সদস্য হিসেবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার আমিও চাই। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই যেন হয়, সেজন্য সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
এর আগে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় ২০০৯ সালে বিদ্রোহের ঘটনায় মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলার আবেদন করেন মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন:
সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনু ও ২০১০ সালের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেল সুপার এবং চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম।
মামলায় বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতার মামলায় আসামি হলেন সাবেক এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত