World wide News

যেখানে ভারী পাথর নিজেরাই চলে, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য (Latest Update)


লাইফস্টাইল ডেস্ক : এই পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যময় স্থান রয়েছে এবং সেগুলোর বিষয়ে যে কেউ জানলে অবাক হয়ে যাবে। এর মধ্যে কিছু জায়গা খুব সুন্দর, আবার রয়েছে কিছু বিপদজনকও। সাধারণত মানুষ এসব জায়গায় ভুলেও পা রাখেনা। একইভাবে, এখানকার গোপন রহস্য আজও বিজ্ঞানীদের কাছে একটি ধাঁধা রয়ে গেছে।

এই প্রতিবেদনে এমন একটি স্থানের কথা বলা হয়েছে যা ‘ডেথ ভ্যালি’ নামে পরিচিত, এটি আমেরিকায়। এই স্থানের রহস্য দেখে বিজ্ঞানীরাও অবাক। এই রহস্যময় স্থানে শত শত ফুট ভারী পাথর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরে যায়। এখানে বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করেছিলেন যে ভারী পাথরগুলি কীভাবে নিজেরাই নড়াচড়া করে। তবে আজ পর্যন্ত এই রহস্যের উদঘাটন করা যায়নি।

এই কারণে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক এই স্থানটি দেখতে আসেন। এই জায়গাটি ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে নেভাডা রাজ্যের কাছে অবস্থিত, যা ২২৫ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এখনো পর্যন্ত কেউ এই পাথরগুলোকে নড়তে দেখেনি। কিন্তু সরে যাওয়ার পর এই পাথরগুলোর পেছনে লম্বা লম্বা দাগ তৈরি হয়। এর ফলেই বোঝা যায়, পাথরগুলো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে গেছে।

যদিও বিজ্ঞানীরা পাথর সরে যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। এই রহস্য জানতে ১৯৭২ সালে একটি বিজ্ঞানীর দল এই জায়গায় পৌঁছেছিল। তারা প্রায় সাত বছর ধরে এই পাথরগুলি নিয়ে গবেষণা চালায়। সেই সময় বিজ্ঞানীরা ৩১৭ কেজি ওজনের একটি পাথর নিয়ে বিশেষ গবেষণা করেন। তবে সেই সময় পাথরটি তার জায়গা থেকে এতটুকু সরেনি।

কিন্তু বছর পর বিজ্ঞানীরা যখন আবার সেই পাথরের কথা জানতে সেখানে পৌঁছান তখন প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে দেখতে পান। যা দেখে বিস্মিত হন বিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ বলেছেন প্রবল বাতাসের কারণে এমনটা হয়, যদিও অনেকেই এসব মানতে নারাজ। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, যে অপ্রাকৃতিক শক্তি এই পাথরগুলোকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।

এই গ্রামটিতে কখনও সন্ধ্যা নামে না, কারণ জানলে অবাক হবেন

স্পেনের এক ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, এখানকার মাটিতে থাকা জীবাণুর কারণে এমনটা হয়। জীবাণুর কারণে মাটি মসৃণ হয়ে যায়। এ কারণে পাথরগুলো সরে সরে যায়। তবে পাথরগুলোর রহস্যজনকভাবে পিছিলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button