Latest News

ঘুমানোর আগে মিনিট দশেক বই পড়া জরুরি কেন? (গুরুত্বপূর্ণ খবর)

সারা দিনের কাজের তালিকা যেটাই হোক না কেন, রাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে কিছু বিষয় মেনে চলা ভালো। দেখা যায়, সারা দিন কাজ শেষে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সেই ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে, মেসেজ বা ই-মেইল টাইপ করে সময় কেটে যাচ্ছে সবার। এখন বেশির ভাগ মানুষই বলতে পারেন না যে শেষ কবে বই পড়েছিলেন!

যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, এক চতুর্থাংশ আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ গত এক বছরে কোনো বই পড়েননি। এভাবে বই পড়ার প্রবণতা কমে যাওয়াটা বেশ লজ্জাজনক। যাদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস আছে, তাদের জীবনের সব পর্যায়ে মানসিক সক্ষমতা ভালো থাকে। এমনকি তাদের মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়ে। 

তাই ঘুমানোর আগে বিছানায় কোনও একটা বই নিয়ে শুয়ে পড়ুন। ঘুম আসার আগে অন্তত ১০ মিনিট সেই বই পড়ুন। পছন্দের কোনো লেখকের বই নেবেন। যা মন শান্ত করবে। বিছানায় শুয়ে ১০ মিনিট বই পড়ে ঘুমোতে গেলে খুব ভালো ঘুম হয়। তবে কোনো ইবুক নয়। একেবারে বাঁধাই করা বই নিয়ে বসবেন। একদিন শুরু করে দেখুন। পরে এই অভ্যাসই খুব কাজে দেবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত বই পড়ের তারা বক্তা হিসেবে ভালো হন, ভালো চিন্তা করতে পারেন, এমনকি তারা মানুষ হিসেবেও ভালো হন।

আপনি যদি ইনসোমনিয়ায় (অনিদ্রা) আক্রান্ত হন তাহলে বই হতে পারে আপনার ভালো বন্ধু। কারণ ২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে বই পড়লে তা ইনসোমনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে আর আপনার ঘুম আসতে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয়, মাত্র ছয় মিনিট বই পড়লেই ৬৮ শতাংশ মানসিক চাপ কমে যায়। এই হার এক কাপ চা খেয়ে বা গান শুনে মানসিক চাপ কমানোর চেয়ে বেশি। এর ফলে মন পরিষ্কার হয় আর শরীর ঘুমের জন্য তৈরি হয়।

মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. ডেভিড লুইস বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, একটি বই শুধু চিত্তবিনোদন ঘটায় না, বরং আপনাকে চিন্তার জগতে সক্রিয় করে রাখে। বই আপনাকে চেতনার অন্য একটি জগতে নিয়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button