শিশুর কান্না থামানোর দোয়া (গুরুত্বপূর্ণ)
ছোট বাচ্চাদের কা*ন্না করা স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে এই কা*ন্নার বিষয়টি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয় তাহলে একটু ভেবে দেখা উচিত। আমাদের আশেপাশে অনেক শিশু বাচ্চা রয়েছেন যারা মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে কা*ন্না করে থাকে। তবে কি কারণে একটি শিশু দিনে এবং রাতে অতিরিক্ত কা*ন্না করে থাকে তা অনেক পিতা-মাতাই ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেন না।
তবে শিশুর কা*ন্না করা অতিরিক্ত মনে হয় হলে এবং সন্দেহজনক হলে তা অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার উপর দিয়ে বিশ্বাস রেখে বিভিন্ন দোয়া ও আমল করতে পারেন। আপনারা যদি মনে সন্দেহ থাকে বদ নজরের কারণে বাচ্চা অতিরিক্ত কা*ন্না করছে আবার জ্বীনের প্রভাবে এরকম হচ্ছে। তাহলে অবশ্যই অতি দ্রুত শিশুর কা*ন্না থামানোর দোয়া পড়ে তার ওপর ফু দিন অথবা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করুন।
শিশুর কান্না থামানোর দোয়া
আপনার শিশুর কা*ন্না পরিমান অতিরিক্ত মনে হলে অবশ্যই অতিদ্রুত নিচের দোয়াটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মে পাঠ করে নিন। তবে নিচে উল্লেখিত দোয়াটি শিশুর কা*ন্নার দ্রুত থামানোর জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এমনকি কোন জিনের বদ নজর লাগলে এবং তা থেকে নিচে দোয়াটি ব্যবহার করতে পারেন। অতএব আরবিতে দোয়াটি হচ্ছেঃ
- شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ
- وَالْمَلَيْكَةُ وَأُولُوا الْعِلْمِ قَابِما بِالْقِسْطِ
- لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
এবং এর বাংলা উচ্চারণঃ শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, ওয়াল মালায়িকাতু, ওয়া উলুল্ ইলমি কায়িমাম বিক্বিসতি, লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল আযীযুল হাকীম
এছাড়াও এর বাংলা অর্থঃ আয়াতের বাংলা অর্থঃ আল্লাহ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নাই, এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীগণ তাঁহার সুবিচার বিশ্বাস করেন এবং সেই মহাপরাক্রান্ত বিজ্ঞানময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই।
যেভাবে এই আয়াতটি ব্যবহার করবেনঃ
- উপরের আয়াতটি সাতবার পাঠ করতে হবে। সাত বার পাঠ করার পর একটি সুতার মধ্যে ফু দিয়ে গিট তৈরি করতে হবে।
- এভাবে একটি সুতায় ৭টি গিট তৈরি করতে হবে। তৈরি করার পর সেই শিশুর গলায় বেঁধে দিলেই চলবে। আশা করা যায় খুব দ্রুত আপনার শিশু কা*ন্না থেমে যাবে।
বাচ্চা রাতে কা*ন্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়
একটি শিশুর কানা থামানোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো সূরা কাজ করে থাকে। তবে এর মধ্যে উল্লেখিত কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা হচ্ছে ইখলাস। এ সূরা ১৫ বার পাঠ করে বাচ্চার বাড়ির দিকে ফু দিলে সে শিশুর কা*ন্না দ্রুত থেমে যায়। এছাড়াও বাচ্চা রাতের বেলা হঠাৎ করে কা*ন্না করলে সূরা ফালাক ৩ বার পড়ে বাচ্চার শরীরে ফুঁ দিন। আশা করা যায় আল্লাহর রহমতে বাচ্চার কা*ন্না ঠিক হয়ে যাবে।
বাচ্চার কা*ন্না বন্ধ করার উপায় আমল দোয়া
বিভিন্ন কারণে একটি শিশু কা*ন্না করতে পারে। তবে অবশ্যই সকল পিতা-মাতার সন্তানের প্রতি সাবধান থাকা উচিত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে তোমাদের শিশু বাচ্চাকে ঘর নিয়ে তোমরা দুধ পান করাও এবং তাদেরকে তোমরা ঘরের ভিতরে নিয়ে যাও এবং দরজা জানালা বন্ধ করে দাও।
অতএব বাচ্চার কা*ন্না বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে বিভিন্ন দোয়া এবং আঙুল রয়েছে। যেগুলো আপনার বাচ্চার কা*ন্না থামানোর ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখিত বাচ্চার কা*ন্না বন্ধ করার উপায় ও আমল হচ্ছেঃ
- রাতে এবং দিনে আপনার শিশু অতিরিক্ত কা*ন্না করলে ইয়া হাসি বু আল্লাহর এই গুণবাচক নামটি অজু করে ১১বার পাঠ করে বাচ্চার শরীরে ফু দিবেন। ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
- আয়তুল কুরসি পড়ে শরীরে ফুক দেওয়া।
- ১৫ বার সূরা ইখলাস পড়ে শরীরে ফুক দেওয়া।
- সুরা নাস পড়ে ফুক দেয়া।
- সুরা জীনের প্রথম ৫ আয়াত ৭বার পড়ে ফুক দেয়া।
বাচ্চা কা*ন্না করলে কি দোয়া পড়তে হয়
একটি বাচ্চা বিভিন্ন কারণে কা*ন্না করতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ গুলি হতে পারে বাচ্চার পেটে ব্যথা হওয়া, ক্ষুধার কারণে কা*ন্না করতে পারে, গরম ঠান্ডা এবং অস্বস্তির কারণে কা*ন্না করতে পারে। ঘুমের কারণে এবং আরামের প্রয়োজন হলে, সর্বোপরি কোন জ্বীনের বদ নজরের কারণে।
তবে অবশ্যই বাচ্চার কা*ন্না অতি দ্রুত থামানো উচিত। বাচ্চা কা*ন্না করলে কি কি দোয়া পড়তে হয় ইতিমধ্যে তা আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি দোয়া আপনাদের জন্য উল্লেখ করা হলো।
- বাচ্চার মাথার উপর হাত রেখে সুরা ফাতিহা, সূরা নাস, সূরা পাঠ করে ফু দিতে পারেন।
- সূরা নাস এবং আয়াতুল কুরসি পড়ে বাচ্চাকে ফু দিতে পারেন।
- বদ নজর দূর করতে সুরা ফালাক এবং সূরা নাস অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়া বাচ্চার কা*ন্না মনে করার দোয়া ও বাচ্চা শরীর বন্ধ করার আমল উল্লেখ করা হলো।
- বিহাক্কি ওয়া ইন্নাকা লাআলা খুলুক্বিন আযীমিন্, ওয়া বিহাক্কি ওয়া লাইছাজ্জাকারু কাল উনছা, ওয়া ইন্নী ছাম্মাইতুহা মারইয়ামা ওয়া ইন্নী উঈযুহা বিকা ওয়া যুররিয়্যাতাহা মিনাশ্ শাইত্বানির রায়ীম। (এই দোয়াটি একবার পাঠ করে শিশুর উপরে ফু দিয়ে দিবে)।
- বিসমিল্লা হির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা ইন্নি আুযু বিকা মিন শররি মা খলকতু ও বারায়ে ওস্বয শরিয়তি আলা নাফিয়াতি ওকালাতি।(শিশুর শরীর বন্ধের দোয়া)।
শেষ কথা
আশা করতেছি ইতিমধ্যে আজকের এই পোস্টে উল্লেখিত অনেকগুলো শিশুর কা*ন্না থামানোর দোয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। দূঢ় বিশ্বাসের সাথে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত দোয়া গুলো আমল করুন। অতএব এই পোস্ট আপনাদের কাছে উপকৃত মনে হলে আপনাদের আশেপাশের সকল ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ