কোটি টাকার গাড়িটির মালিক কে, সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত (Latest Update)
জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাস্তায় দুই দিন ধরে পড়ে থাকা ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের জিপ গাড়ির মালিক দাবি করেছেন এক ব্যক্তি। তার নাম আবদুর রহমান। তিনি নিজেকে কাতার প্রবাসী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার দাবি, দেশে তিনি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসা করেন। রোববার রাতে গাড়িটি স্টার্ট না নেওয়ায় তিনি রেখে গিয়েছিলেন। পরদিন এসে স্ট্যার্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্টার্ট না হওয়ায় রেখে যান। এর মধ্যে পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে নিয়ে যায়।
তবে মালিক দাবি করলেও পুলিশ গাড়িটি তাকে হস্তান্তর করেনি। কারণ বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটির মালিক ওঅ্যান্ডএম সলিউশন বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় ঢাকার গুলশানে। তাই গাড়িটির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
খুলশী থানার ওসি কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়িটির জব্দ কাগজ আদালতে পাঠিয়েছি। গাড়ি থানায় আছে। মালিক দাবি করা ব্যক্তিকে আদালতে আবেদন করতে বলেছি। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাড়ি হস্তান্তর করা হবে।’
গাড়িটির মালিক দাবি করা আবদুর রহমান বলেন, ‘নগরের দুই নম্বর গেটে আমার মামার গাড়ির শো রুম আছে। পুরনো গাড়ি সংগ্রহ করে সেখানে রেখে বিক্রি করি। রোববার রাতে গাড়িটি কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁর সামনে রেখে চা খেতে ঢুকি। বের হয়ে গাড়িটি স্টার্ট না হওয়ায় রেস্তোরাঁর দারোয়ানকে বলে গাড়িটি সেখানে রেখে আসি। এর মধ্যে গাড়িটি পুলিশ জব্দ করে নিয়ে যায়। আমরা বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করব।’
তিনি বলেন, ওঅ্যান্ডএম সলিউশন থেকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার এক ব্যক্তি গাড়িটি কিনেন। তার কাছ থেকে আমরা নিয়েছি। গাড়িটি বিক্রি করে দেব এ জন্য মালিকানা বদল করা হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরের খুলশী থানার ওয়াসা মোড় কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২৮৮৩ গাড়িটির মালিক ওঅ্যান্ডএম সলিউশন বাংলাদেশ লিমিটেড। গাড়িটির ফিটনেস ২০১৮ সালের পর আর নবায়ন করা হয়নি। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও ২০১৯ সালে শেষ হয়েছে। এরপর আর নবায়ন করা হয়নি।
শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী : ফরহাদ মজহার
মালিকানার কথা অস্বীকার করেছেন ওঅ্যান্ডএম সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে এ নম্বরের কোনো গাড়ি আমাদের প্রতিষ্ঠানে নেই। তবে পাঁচ-ছয় বছর আগে একটি জিপ গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। গাড়িটি এত দিন আমাদের নামে থাকার কথা নয়। তবে কার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল, তা তিনি জানাতে পারেননি।