কুরবানী কত প্রকার কি কি? | কুরবানী দুই প্রকার কি কি?
কুরবানী কত প্রকার কি কি? | কুরবানী দুই প্রকার কি কি?
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। প্রিয় পাঠক আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। বন্ধুরা বর্তমান সময়ে আমরা যে কোন তথ্যের জন্য গুগলে সার্চ করে থাকি। তাই ভিবিন্ন ধরনের পিক ডাউনলোড করতে আমাদের গুগলের সাহায্য নিতে হয়।
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কুরবানী কত প্রকার কি কি? কুরবানী দুই প্রকার কি কি? এর সম্পর্কে। আপনি এই সমস্ত ছবি হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের সংগ্রহে আছে কোরবানি সম্পর্কে কিছু বানী। আমি আশা করি এই ছবিগুলো আপনার প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করতে কাজে লাগবে। তাই দেরি না করে ডাউনলোড করুন আপনার পছন্দের ছবি।
কুরবানী দুই প্রকার কি কি?
কোরবানি প্রথমত দুই প্রকার। (১) ওয়াজিব ও (২) মুস্তাহাব।
ওয়াজিব আবার চার প্রকার। যথা:-
১. মান্নতের কোরবানি অর্থাৎ কেউ কোরবানির মান্নত করলে সে ধনী হোক বা গরীব তার পক্ষে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
২. ওসিয়ত কৃত কোরবানি অর্থাৎ কোন মৃত ব্যক্তি
ওসিয়ত করে গেলে এবং সেই পরিমাণ সম্পদ রেখে গেলে ওয়ারেসিন এর পক্ষে সেই কোরবানি আদায় করা ওয়াজিব।
৩. কোন গরিব লোক কোরবানির নিয়তে কোনো পশু ক্রয় করলে তার পক্ষে তা কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
৪. মুসলমান নারী বা পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী হয়ে নেসাবের মালিক হলে এবং মুসাফির না হলে তার পক্ষে এক অংশ কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
এই ওয়াজিব চার প্রকারের বাইরে যত
কোরবানি হবে সবই মুস্তাহাব। নোট:- মান্নত ও ওসিয়াতকৃত কোরবানির গোশত গরীব মিসকিনদের বন্টন করে দিয়ে দিতে হবে। এছাড়া অন্যান্য কোরবানির গোশত নিজে এবং আত্মীয়-স্বজন সবাই খেতে পারবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান এবং মস্তিস্ক বিকৃত লোক যদি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হয় তাহলে তাদের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য ফতুয়া হলো তাদের পক্ষে কোরবানি দেওয়া আবশ্যক নয়। তাদের অভিভাবকের পক্ষে তাদের মালামাল থেকে কোরবানি দেওয়াও জায়েয হবে না। তবে অভিভাবকগণ নিজেদের অর্থ-সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষ থেকে কোরবানি দিতে পারবে।
Tag:-কুরবানী কত প্রকার কি কি? | কুরবানী দুই প্রকার কি কি?